শিরোনাম
◈ দেশে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু: ট্রাভেল পাসের আবেদন তারেক রহমানের ◈ হাসিনার অনুসারীদের জামিন বিতর্কে আইন উপদেষ্টার উদ্বেগ প্রকাশ ◈ প্রার্থীদের অস্ত্রের ঝুঁকি, নিরপেক্ষ প্রশাসন নিয়ে চ্যালেঞ্জ ইসির ◈ কূটনীতির রীতিনীতি কি উপেক্ষা করছেন প্রণয় ভার্মা ◈ ওসমান হাদির অস্ত্রোপচার হবে সিঙ্গাপুরে, অনুমতি দিয়েছে পরিবার ◈ দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করলো সরকার ◈ দুর্বল প্রতিপ‌ক্ষের বিরু‌দ্ধে  লড়াই ক‌রে জিত‌লো ‌রিয়াল মা‌দ্রিদ ◈ মেয়েকে নিয়ে ২৫ তারিখ সকাল ১১টায় ঢাকায় নামবেন তারেক রহমান ◈ নির্বাচন নিয়ে ভারতের 'নসিহতে' বাংলাদেশের তীব্র প্রতিক্রিয়া কেন? ◈ শেষ স্ট্যাটাসে ওসমান হাদিকে নিয়ে যা লিখেছিলেন এনসিপির নেত্রী রুমী

প্রকাশিত : ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৪৯ রাত
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৩৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ফয়সালের বাবা-মার স্বীকারোক্তি, মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানের বাবা-মা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। স্বীকারোক্তিতে তারা জানান, আসামিদের পালাতে ও অস্ত্র লুকাতে তারা সহায়তা করেছেন। জবানবন্দীর পর আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ হাউজিং এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে র‌্যাব-১০ ফয়সালের বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করে, পরে তাদের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

র‌্যাবের অনুসন্ধানে জানা গেছে, তাদের চার সন্তানের মধ্যে আসামি শুটার ফয়সাল তৃতীয়। আসামি শুটার ফয়সাল রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় তার বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করত। ঘটনার দিন রাতে আসামি শুটার ফয়সাল জেসমিন আক্তারের বাসায় একটি ব্যাগ নিয়ে ওঠেন। পরে ওই বাসার চিপা দিয়ে কালো ব্যাগটি ফেলে দেন এবং আবার আসামি তার ভাগনে জামিলকে (১৮) দিয়ে ব্যাগটি নিয়ে আসেন। আসামি তার নিজ ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনের একটি ওই বাসার ছাদ থেকে ফেলে দেন এবং অন্যটি তার মা হাসি বেগমকে দেন।
 
পরে সেখানে বাবা-মার সঙ্গে দেখা করে। সেখানে আসামি শুটার ফয়সাল তার অবস্থান নিরাপদজনক মনে না হওয়ায় আগারগাঁও থেকে মিরপুর, পরে শাহজাদপুরে আসামি মো. হুমায়ুন কবিরের ভাতিজা আরিফের বাসায় যান। শুটার ফয়সালের ব্যাগ নিয়ে তার বাবা মো. হুমায়ুন কবির একটি সিএনজি ভাড়া করে দেন এবং সঙ্গে কিছু টাকাও প্রদান করেন। পরবর্তীতে আসামিরা তার ছোট ছেলে হাসান মাহমুদ বাবলু ওরফে রাজের কেরাণীগঞ্জের বাসায় আসে এবং তারা জুরাইন থেকে দুটি মোবাইল সিম কিনে ব্যবহার করে।
ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ জানায়, ১২ ডিসেম্বর দুপুরে পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে হাদি মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় দুইজনকে শনাক্ত করা হয়েছে—শুটার ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান এবং বাইক চালক আলমগীর হোসেন। এ ঘটনায় ফয়সালের স্ত্রী, প্রেমিকা ও শ্যালককে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে আদালতে ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির জানান, হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির মালিকানা সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য রয়েছে। মঙ্গলবার আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া ফয়সালকে পালাতে সহায়তা করার দায়ে নুরুজ্জামান নোমানী ওরফে উজ্জ্বলের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। উৎস: নিউজ24

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়