মনিরুল ইসলাম: ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দুর্গাষ্টমীর পূজায় যোগ দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ও
তাঁর সহধর্মিণী।
মঙ্গলবার তিনি তাঁর সহধর্মিণীকে নিয়ে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এ সময় তিনি শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে হাইকমিশনার বলেন, আজ ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দুর্গাষ্টমীর পূজায় আমার সহধর্মিণীসহ উপস্থিত হতে পেরে আমি আনন্দিত। ভারত ও বাংলাদেশ একটি বিশেষ ও অনন্য সম্পর্কে আবদ্ধ। ইতিহাস ও ভৌগোলিক সান্নিধ্য এ সম্পর্ককে দৃঢ় করেছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে দুই দেশের যৌথ আত্মত্যাগ আমাদের আবেগগতভাবে একসূত্রে গেঁথে রেখেছে।
তিনি বলেন, আমাদের ভাষা, সাহিত্য, শিল্পকলা, সংগীত ও উৎসবও একই ঐতিহ্যের অংশ। দুর্গাপূজা সেই যৌথ ঐতিহ্যেরই প্রতিফলন।এই উৎসব আমাদের মনে করিয়ে দেয়— আমাদের সাংস্কৃতিক বন্ধন জাতীয় সীমানার চেয়েও প্রাচীন ও গভীর। এ সম্পর্কের প্রকৃত শক্তি নিহিত আছে দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক সম্মান ও ভাগাভাগি করা ঐতিহ্যে।
প্রণয় ভার্মা বলেন, দুর্গাপূজা শুধু ভক্তির উৎসব নয়, এটি সংস্কৃতি, অন্তর্ভুক্তি ও মানবিকতারও এক মহোৎসব। এ সময়ে পরিবারগুলো একত্রিত হয়, মহল্লায় মহল্লায় মিলন ঘটে, আর শিল্প ও সংগীত প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
তিনি বলেন, দুর্গাপূজা শুভের জয়ের প্রতীক—অশুভের উপর শুভের বিজয়, অন্ধকারের উপর আলোর বিজয়, হতাশার উপর আশার বিজয়। আমরা প্রার্থনা করি, এ দুর্গোৎসব আমাদের সবার জীবনে নতুন আশা বয়ে আনুক এবং আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাক।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, এই শুভ অষ্টমীর দিনে আমি দেবী দুর্গার কাছে প্রার্থনা করি— তিনি যেন আমাদের জ্ঞান ও সহমর্মিতায় আশীর্বাদ করেন, শান্তি, সমৃদ্ধি, সুখ ও সম্প্রীতি বর্ষণ করেন এবং আমাদের সাহস ও শক্তি দেন দুই দেশের জনগণের বন্ধন আরও সুদৃঢ় করে তুলতে।
তিনি উপস্থিত সবার প্রতি শুভ দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানান।