মনিরুল ইসলাম: পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা কমিটির দ্বিতীয় ধাপের প্রতিবেদন বুধবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নিকট জমা দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খান।
২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে পদোন্নতিতে বঞ্চিত হয়ে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আবেদন যাচাই-বাছাই এবং সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে পাঁচ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এবং আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
এর আগে প্রথম ধাপে উপসচিব ও তদূর্ধ্ব পদে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা করে গত ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি।
দ্বিতীয় ধাপে প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া অন্যান্য ক্যাডারের গ্রেড-৩ বা তদূর্ধ্ব পদে থাকা বঞ্চিত কর্মকর্তাদের আবেদন আহ্বান করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৩১৮টি আবেদন জমা পড়ে। এরমধ্যে ৬৮টি আবেদনের বিষয় কমিটির এখতিয়ারভুক্ত নয় এবং ৪০টি আবেদন তথ্যগতভাবে অসম্পূর্ণ থাকায় মোট ১০৮টি আবেদন বিবেচনাযোগ্য হয়নি। ফলে ২১০টি আবেদন পর্যালোচনার জন্য গৃহীত হয়।
এই আবেদনের ওপর সিদ্ধান্ত নিতে কমিটি ১৪টি সভা করে। সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের আবেদন বিবেচনার সময় প্রতিটি সভায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের লিখিত মতামত, উপস্থিত প্রতিনিধির বক্তব্য এবং নথিভুক্ত তথ্যসমূহ বিশদভাবে পর্যালোচনা করে কমিটি সুপারিশ চূড়ান্ত করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেড-১ পদে ১২ জন, গ্রেড-২ তে ৩২ জন এবং গ্রেড-৩ পদে ৩৪ জনসহ মোট ৭৮ জন কর্মকর্তাকে ভুতাপেক্ষ পদোন্নতি প্রদান করা যেতে পারে। এর মধ্যে ৬ জন কর্মকর্তাকে ৩ ধাপ, ১৭ জনকে ২ ধাপ এবং ৫৫ জনকে ১ ধাপ পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়েছে।
অন্যদিকে ১৩২ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়নি। প্রতিটি ক্ষেত্রে এর নির্দিষ্ট কারণ চিহ্নিত করে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদন হস্তান্তরের সময় প্রধান উপদেষ্টার মুখ্যসচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।