শিরোনাম
◈ ভারতে থাকা আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক অফিস বন্ধের আহ্বান ◈ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সব জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ ◈ একাদশে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ, দেখবেন যেভাবে ◈ সীমান্ত বিরোধ মেটাতে চীন-ভারত বৈঠকে যে আলোচনা হলো ◈ নির্বাচন, সেনাবাহিনী, বিএনপি ও জামায়াত—সব ইস্যুতে মুখ খুললেন শাহরিয়ার নাজিম জয় শাহরিয়ার নাজিম জয় ◈ মধ্যপ্রাচ্যে আটকে না থেকে ইউরোপ-জাপানে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোয় জোর: আসিফ নজরুল ◈ বাংলাদেশ দ্রুত ক্যাশলেস অর্থনীতির পথে: গভর্নর আহসান মনসুর ◈ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের হুমকি, গ্রাহকদের যে বার্তা দিল তিতাস ◈ পুতিনের মলমূত্রও বিদেশ থেকে রাশিয়ায় বয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কেন? ◈ বুড়িগঙ্গার তীর থেকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর বাংলোবাড়ি উচ্ছেদ (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২০ আগস্ট, ২০২৫, ১২:৫৩ দুপুর
আপডেট : ২০ আগস্ট, ২০২৫, ০৭:০৮ বিকাল

প্রতিবেদক : মনিরুল ইসলাম

অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে জাতীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তা শক্তিশালী করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

মনিরুল ইসলাম: প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আমরা আজ একত্রিত হয়েছি। এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হলে দক্ষ ও কর্মক্ষম মানবসম্পদ অপরিহার্য। দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে না পারলে ব্যক্তিগত জীবন ও জাতীয় উন্নয়ন—কোনোটিই সঠিকভাবে সম্ভব নয়। তাই যে কোনো পরিস্থিতিতে সুস্থ ও সক্ষম প্রজন্ম গড়ে তোলা অপরিহার্য।

ড. ইউনূস আরও বলেন, সরকারি, বেসরকারি, সুশীল সমাজ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং উন্নয়ন সহযোগী সব শ্রেণির মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ দরকার। কেবল পারস্পরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এটি সম্ভব। এজন্য আজকের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ।

বিশ্বের প্রায় সব দেশে অসংক্রামক রোগের (NCDs) বিস্তার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, জনসংখ্যার ঘনত্ব ও সামাজিক-অর্থনৈতিক পরিবেশে এটি আরও সংকটময়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২২ সালের প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশে মৃত্যুর ৭১% অসংক্রামক রোগের কারণে এবং এর মধ্যে ৫১% অকাল মৃত্যুর ক্ষেত্রে। ব্যক্তিগত চিকিৎসা ব্যয় উচ্চ, যা প্রায়শই অসংক্রামক রোগের জন্য হয়।

ড. ইউনূস বলেন, অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা ব্যয় মানুষকে বিপুল আর্থিক চাপের মুখে ফেলে। বিদেশে উচ্চমূল্যে চিকিৎসা নিতেও বাধ্য হতে হয়। এজন্য রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি। স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, চিনি ও তামাক নিয়ন্ত্রণ, শিশু-কিশোর ও নারী স্বাস্থ্যে অগ্রাধিকার, এবং নাগরিক সমাজ ও যুবশক্তিকে অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রমে আনা অপরিহার্য।

তিনি আরও বলেন, সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক কারিগরি সহযোগিতা জরুরি। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেল প্রয়োগে ‘যৌথ ঘোষণা’ কার্যকর করা সম্ভব। এছাড়া নিবিড় মনিটরিং, মূল্যায়ন, দক্ষ জনবল ও পর্যাপ্ত আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ড. ইউনূস আশা প্রকাশ করেন, এই ‘যৌথ ঘোষণা’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ও এসডিজি পরবর্তী উন্নয়ন এজেন্ডা অর্জনে সহায়ক হবে।

বিশেষভাবে তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বাংলাদেশ অফিস এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টর ড. Thaksaphon Thamarangsi-এর প্রতি, যাঁরা এই আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা করেছেন।

আজ বুধবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এই তথ্য জানানো হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়