বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন চুয়াডাঙ্গার সহকারী জজ মো. দোলন হাসান। আজ (রোববার, ২৭ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালতে দোলন হাসান আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। পরে দুপক্ষের আইনজীবীরা শুনানি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে চুয়াডাঙ্গার সহকারী জজ দোলন হাসানের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান ২৫ বছর বয়সী ভুক্তভোগী তরুণী। মন দেয়া নেয়ার এক পর্যায়ে বিয়ের আশ্বাসে মিরপুরের শেওড়াপাড়ার বর্ডার বাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বসবাস শুরু করেন তারা। এরপর ২০২৩ সাল থেকে গত তিন বছরে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয় তাদের মাঝে।
এরপর বিয়ের জন্য চাপ দিলে চলতি বছরের ১২ এপ্রিল থেকে তরুণীর সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে বিচারক দোলন। কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে না পেরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর দ্বারস্থ হন ভুক্তভোগী তরুণী। পরে মামলার এজাহার হিসেবে গণ্য করে মামলা গ্রহণ করেন আদালত।
রোববার জামিন শুনানি শেষে আদালত সহকারী জজ মো. দোলন হোসেনকে জামিন দিয়েছেন। আসামিকে জামিন দেয়ার ক্ষোভ জানায় ভুক্তভোগীর আইনজীবী এবিএম সিদ্দিকী। বলেন, ‘বিয়ের কথা বলে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। বিয়ে না করায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা।’