শিরোনাম
◈ চীনের ভয়ঙ্কর 'অদৃশ্য মারণাস্ত্র' এইচপিএম: বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ, ভারত-যুক্তরাষ্ট্রেও চিন্তার ভাঁজ! (ভিডিও) ◈ দিল্লির গাজিয়াবাদে ‘ভুয়া রাষ্ট্রদূত’ ধরা পড়লেন: ৩০০ কোটি রুপি পাচার, জাল দূতাবাস চালিয়ে বিদেশ সফর ১৬২ বার! ◈ অস্ত্র যদি হ্যান্ডেলই করতে না পারেন তাহলে নিয়ে আসলেন কেন, বাবরকে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর প্রশ্ন ◈ মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ: বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দেওয়ায় বিদেশি মেডিকেল টিমগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ◈ অ্যাসাইলাম আবেদন করলেই পাসপোর্ট দিচ্ছে না বাংলাদেশ মিশন, বিপাকে অস্ট্রেলিয়ায় শত শত বাংলাদেশি! ◈ বাংলাভাষী মুসলিমদের আটক করা ‘অবৈধ’, বাংলাদেশে পুশইন নিয়ে আরও যা বললেন ওয়াইসি ◈ যিনি প্রধানমন্ত্রী হোন তিনি তার পকেটে ক্ষমতা নিয়ে থাকেন: জোনায়েদ সাকি ◈ কচুয়ায় বিএনপির গণমিছিলে হামলা, আহত ১০ ◈ মুরাদনগরে ধর্ষণ ঘটনার প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন কুমিল্লার এসপি ◈ যে কারণে বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত

প্রকাশিত : ২৭ জুলাই, ২০২৫, ০৪:৪৬ দুপুর
আপডেট : ২৮ জুলাই, ২০২৫, ১২:১৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনা: বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে ছাড় পেলো আরও দুজন, চারজন রোগীর অবস্থা গুরুতর থেকে সংকটাপন্ন

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় চিকিৎসাধীন আরও দুজনকে  ছাড়পত্র দিয়েছে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। এ নিয়ে এই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে চারজন বাড়িতে ফিরেছে।

রবিবার (২৭ জুলাই) বিকাল তিনটায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিন।

তিনি জানান, আজ ছাড়প্রাপ্তদের একজন উদ্ধারকারী কাজী আমজাদ সাইদ, যিনি দুর্ঘটনার সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার কাজে অংশ নেন। অপরজন সবুজা আক্তার, তিনি মাইলস্টোন স্কুলের একজন নারী কর্মী।

তিনি বলেন, মোটামুটি সুস্থতা লাভ করায় রবিবার দুজনকে আমরা রিলিজ দিয়েছি। বর্তমানে ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৪ জন রোগী, তাদের মধ্যে ২৮ জন শিশু এবং ৬ জন প্রাপ্তবয়স্ক।  বর্তমানে ভর্তি থাকা ৩৪ জন রোগীর মধ্যে চারজন রয়েছেন আইসিইউতে। তাদের মধ্যে দুজন রয়েছেন লাইফ সাপোর্টে। এই দুই রোগী হলেন— ১৪ বছর বয়সী আয়ান, যার শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে এবং ইনহেলেশন ইনজুরিও রয়েছে এবং নাবিদ নেওয়াজ, যিনি ৫৩ শতাংশ দগ্ধ ও ইনহেলেশন ইনজুরিতে আক্রান্ত। এছাড়া মেডিক্যাল এইচডিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩ জন, ফিমেল এইচডিইউতে ৬ জন, পোস্ট-অপারেটিভ ওয়ার্ডে ৮ জন এবং কেবিনে আছেন ১২ জন।

তিনি বলেন, সব মিলিয়ে এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে ৪ জন সংকটাপন্ন (ক্রিটিক্যাল) এবং ৯ জন গুরুতর (সিভিয়ার) অবস্থায় রয়েছেন। ইনহেলেশন ইনজুরিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭ জন এবং শরীরের ৩০ শতাংশ বা তার বেশি পুড়ে যাওয়া রোগীর সংখ্যা ৬ জন।

তবে আজ নতুন করে আইসিইউতে কাউকে ভর্তি করা হয়নি। চারজন রোগীর অবস্থা গুরুতর থেকে সংকটাপন্ন পর্যায়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এদের মধ্যে আছেন ১৫ বছর বয়সী তাসনিয়া, যিনি ৩৫ শতাংশ বার্ন ও ইনহেলেশন ইনজুরিতে আক্রান্ত; ১০ বছর বয়সী আবিদুর রহিম, যিনি ২২ শতাংশ বার্নে আক্রান্ত; আগে থেকেই আইসিইউতে থাকা নাবিদ নেওয়াজ এবং সেহেল ফারাবি আয়ান, ৪০ শতাংশ বার্নে আক্রান্ত।

এদিকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে সরেজমিনে দেখা যায়, ভেতরে প্রবেশে এখনও চলছে কড়াকড়ি। রোগীর স্বজন ব্যতীত কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না ভেতরে। পুলিশ সেনাবাহিনী ও একাধিক স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপ শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়