মনিরুল ইসলাম: জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে প্রায় সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে সুস্পষ্ট ঐকমত্য গড়ে উঠেছে। এ বিষয়ে গঠন, কাঠামো এবং ক্ষমতা সম্পর্কেও আলোচনা হয়েছে, যেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে।
বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের অষ্টম দিনের সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।
সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পাশাপাশি আজ নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনঃনির্ধারণ নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আশু ও দীর্ঘমেয়াদী দুটি ধাপে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে।
আশু ব্যবস্থা:
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে একটি বিশেষায়িত কমিটি গঠন করে, প্রয়োজন হলে সেটির কাঠামো পরিবর্তন করে, সংসদীয় এলাকার সীমানা নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তাব:
সংবিধানের ১১৯(১)(গ) অনুচ্ছেদে সংশোধনী এনে প্রতি আদমশুমারী বা অনধিক ১০ বছর অন্তর একটি নির্দিষ্ট কমিটির মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণের আইনগত ভিত্তি তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছে। সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১ (সংশোধিত ২০২৫) অনুযায়ী কমিটির গঠন ও কার্যপরিধিও নির্ধারিত হবে।
আজকের সংলাপে অংশ নেওয়া দলগুলো:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ মোট ৩০টি রাজনৈতিক দল।
আজকের আলোচনায় আরও উঠে এসেছে:
সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ প্রক্রিয়া
জাতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষের নির্বাচন পদ্ধতি
আগামীকাল ৩ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টায় কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর পরবর্তী দফার আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।