পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যে চিরায়ত ভাষাগত, সাংস্কৃতিক ও অভিন্ন মূল্যবোধকেন্দ্রিক আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে, তা অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের ঊর্ধ্বে বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
সোমবার (২৩ জুন) দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠকে এই কথা বলেন তিনি। এর পাশাপাশি, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
নয় বছর পর ভারতে নিযুক্ত কোনো বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বৈঠকে বসেন মমতা ও হামিদুল্লাহ, চলে ২০ মিনিট।
বৈঠকের শুরুতেই বাংলাদেশের হাই-কমিশনার উপহার হিসেবে মমতা ব্যানার্জীকে বাংলাদেশের জনপ্রিয় মিষ্টি ও শাড়ি দেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদিও।
বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তার পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি শুভেচ্ছা ও সম্প্রীতি জানানোর জন্য হাইকমিশনারকে অনুরোধ করেন।
মূলত তিনদিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গে গেছেন বাংলাদেশি হাইকমিশনার। রোববার (২২ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে দিল্লি থেকে কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। সোমবার সকাল ১০টার দিকে কলকাতার বাংলাদেশের উপ-দূতাবাসে পৌঁছান। সেখানে তিনি উপ-দূতাবাসের কর্মীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেন।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) তৃণমূল কংগ্রেসের সাবেক রাজ্যসভার সদস্য জহর সরকারের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গে তার কিছু ব্যাক্তিগত কাজও রয়েছে। বুধবার (২৫ জুন) দিল্লি ফিরে যাবেন তিনি। উৎস: জাগোনিউজ24