শিরোনাম
◈ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন ◈ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র এফটিএ: রপ্তানি প্রবাহে আসতে পারে বড় পরিবর্তন ◈ জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব শুধু কমিশনের একার নয়: আলী রীয়াজ ◈ রা‌তে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বাংলা‌দেশ- ভারত মুখোমুখি ◈ বিমানবন্দর থেকে নুসরাত ফারিয়া আটক ◈ এনবিআর ভেঙে নতুন ২টি বিভাগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট ◈ স্বাস্থ্যব্যয়ে বাড়ছে দারিদ্র্য: গবেষণায় উদ্বেগজনক তথ্য ◈ সার্ভিস ফি-কমিশন বন্ধ, পাসপোর্টে ডলার এনডোর্সমেন্ট ফি নির্ধারণ করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক ◈ ‘বিদেশি নাগরিকত্ব’ ইস্যুতে অবস্থান স্পষ্ট করলেন খলিলুর রহমান ◈ ৪৫ হাজার টাকার জন্য ভ্যানচালককে মে-রে ড্রিল মেশিন দিয়ে তার চোখ খোলা হয়!

প্রকাশিত : ১৮ মে, ২০২৫, ১১:১১ দুপুর
আপডেট : ১৮ মে, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মামলায় জামিন না দেওয়ায় বিচারককে শাসালেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা, ভিডিও ভাইরাল

হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন না মেলায় ঢাকার বিচারিক আদালতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জামিন আবেদন নামঞ্জুরের আদেশে ক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপিপন্থি এক আইনজীবী বিচারককে ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ বলে গালাগালি করেন এবং আদালতের কজলিস্ট ছুঁড়ে ফেলেন। শনিবার (১৭ মে) দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার একটি হত্যা চেষ্টা মামলায় আসামি হানিফ মেম্বার গত ১২ মে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর শনিবার (১৭ মে) পুনরায় জামিন আবেদন করা হলে সেটিও নাকচ করেন বিচারক।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জামিন না মেলায় খোরশেদ আলমসহ কয়েকজন আইনজীবী প্রকাশ্য আদালতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। তারা বিচারককে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’, ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ বলে মন্তব্য করেন এবং আদালতের কজলিস্ট ছুড়ে দেন।

এ ঘটনার একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে। সেখানে দেখা যায়, আইনজীবী খোরশেদ আলম বিচারকের কাছে নথি দেখিয়ে বলেন, ‘ঘটনার তারিখ, সময়, স্থান সব একই, বাদী আলাদা-এটা কি সম্ভব?’ এরপর তিনি এজলাস ত্যাগ করেন। অপর আইনজীবী আবদুল খালেক মিলন বলেন, ‘আমরা সিএমএম কোর্টে রাজনীতি করেছি। আজকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করলে আমরা গুম হয়ে যেতাম, খুন হয়ে যেতাম।’ বিচারকের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আজ আপনি যে চেয়ারে বসে আছেন, তা আমাদের কারণে।’

জানা গেছে, হানিফ মেম্বারের বিরুদ্ধে জমি দখল, ভাঙচুর, লুটপাট, যৌন নিপীড়ন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গত ৬ মে মামলা করেন বাদী ফজলুল হক। মামলায় বলা হয়, হানিফ মেম্বার ১৫ বছর ধরে নির্বাচিত না হয়েও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হিসেবে প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। জমি দখল, গ্যাস সংযোগে অনিয়ম এবং অর্থ আত্মসাতসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বাদী দাবি করেন, হানিফ মেম্বার এখন হাজার কোটি টাকার মালিক, অথচ একসময় নৌকা বাইতেন। ফজলুল হকের অভিযোগ, ‘জমি দখল করতে না পেরে হানিফ আমার কেয়ারটেকারকে বেঁধে রেখে মারধর করে, স্ত্রীর ওপর যৌন নির্যাতন চালায় এবং বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।’

এদিকে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করায় বিচারকের প্রতি অশালীন ভাষা ব্যবহার ও হুমকির ঘটনায় বিচার বিভাগে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। আদালত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিচারককে হুমকি ও গালিগালাজ করা ফৌজদারি অপরাধ এবং আদালতের অবমাননার শামিল।

বিচার বিভাগীয় মহল বলছে, এ ধরনের আচরণ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত। ঘটনার তদন্তপূর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠেছে বিচার সংশ্লিষ্ট মহলে। সূত্র: চ্যানেল২৪

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়