চারপাশের সবাই যখন স্বাভাবিক, তখনও কি আপনার গায়ে কাঁটা দিচ্ছে ঠান্ডায়? শুধু আবহাওয়ার শীত নয়, সাম্প্রতিক সময়ে এই বিষয়টি ঘিরে আলোচনা বলছেঅতিরিক্ত শীত লাগার পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারে শরীরের ভেতরের এক নীরব সংকেত। বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্দিষ্ট কিছু ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতিই অনেক সময় এই সমস্যার মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
চিকিৎসকদের ভাষায়, ভিটামিন বি১২ ও আয়রনের ঘাটতি অতিরিক্ত শীত লাগার অন্যতম প্রধান কারণ। এই দুই উপাদান রক্তের মাধ্যমে শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন পৌঁছাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মাত্রা কমে গেলে রক্তের অক্সিজেন বহনক্ষমতা হ্রাস পায়, ফলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ব্যাঘাত ঘটে। এরই পরিণতিতে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি ঠান্ডা অনুভূত হয়।
শুধু শীত লাগাই নয়, দীর্ঘদিন ধরে ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, নিস্তেজভাব, হাত-পায়ে ঝিনঝিন করা বা অবশ লাগার মতো উপসর্গও ভিটামিন বি১২ ও আয়রনের ঘাটতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। সময়মতো এই ঘাটতি পূরণ না হলে রক্তস্বল্পতা, স্নায়বিক জটিলতা এবং দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা বাড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, অকারণে বারবার শীত লাগাকে হালকাভাবে নেওয়া ঠিক নয়। অনেক সময় এই অনুভূতি শরীরের ভেতরে চলতে থাকা কোনো জৈবিক ঘাটতি বা বড় সমস্যার পূর্বাভাস দেয়। তাই স্বাভাবিকের বাইরে ঠান্ডা লাগা অনুভূত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রক্তে ভিটামিন বি১২ ও আয়রনের মাত্রা পরীক্ষা করানোই বুদ্ধিমানের কাজ।
স্বাস্থ্য ও মানবদেহ নিয়ে কৌতূহল বাড়লেও, চিকিৎসকদের মতে সবচেয়ে জরুরি হলো শরীরের সংকেতগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া। কারণ অতিরিক্ত শীত লাগা অনেক সময়ই হতে পারে শরীরের ভেতরে জমে ওঠা বড় সমস্যার প্রথম সতর্ক ঘণ্টা।
সূত্র: জনকণ্ঠ