দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং বলেছেন, সীমান্ত উত্তেজনা উসকে দেওয়ার ঘটনায় তার পূর্বসূরি যে ভূমিকা রেখেছিলেন, সে কারণে পিয়ংইয়ংয়ের কাছে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি তিনি বিবেচনা করছেন।
লি বুধবার বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে গত মাসে যে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে একটি ক্ষমা প্রার্থনা সমীচীন হতে পারে। প্রসিকিউটরদের অভিযোগ, ইউন উত্তর কোরিয়ার ওপর প্রচারপত্র বহনকারী ড্রোন উড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন—যার উদ্দেশ্য ছিল উত্তেজনা সৃষ্টি করে নিজের রাজনৈতিক সমর্থন বাড়ানো।
এই মন্তব্য আসে এমন এক সময়ে, যখন সিউল ইউনের ব্যর্থ সামরিক আইন (মার্শাল ল) ঘোষণার বার্ষিকী পালন করছে—যেটিও অনুরূপ উদ্দেশ্য থেকেই নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তার বদলে দক্ষিণ কোরিয়াকে গভীর সংকটে ঠেলে দেয়।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই লি পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে সংলাপের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তবে এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সেই প্রস্তাবগুলো উপেক্ষা করে যাচ্ছেন।
লি সিউলে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমার মনে হয় আমার ক্ষমা চাওয়া উচিত, কিন্তু প্রকাশ্যে তা বলতে দ্বিধা বোধ করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি আশঙ্কা করছি, আমি যদি সেটা বলি, তাহলে সেটিকে আদর্শিক লড়াইয়ের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে, কিংবা আমাকে উত্তর কোরিয়াপন্থী বলে অভিযুক্ত করা হতে পারে।’
উত্তর কোরিয়া ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে অভিযোগ করে, ইউন সরকারের অধীনে তাদের রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের আকাশসীমায় তিনবার ড্রোন উড়িয়ে প্রচারপত্র ফেলা হয়েছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম সোমবার জানিয়েছে, সাবেক প্রশাসনের সময় সেনাবাহিনী সীমান্ত পেরিয়ে প্রচারপত্র বহনকারী বেলুনও উড়িয়েছিল।
সূত্র : আলজাজিরা