শিরোনাম
◈ ১৮ বছর পর বাংলাদেশ-কুয়েত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক: বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শ্রমবাজারে নতুন সম্ভাবনা ◈ এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের টানা অনশন, অসুস্থ বহু শিক্ষক ◈ চট্টগ্রাম বন্দরে ১২শ টন কাঁচামালবাহী লাইটার জাহাজ ডুবি (ভিডিও) ◈ শাহজালালে আগুন: বিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের ◈ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের সম্ভাবনা, টানা ৫ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস ◈ গাঁজা সেবনের পর ভয়াবহ স্মৃতি মনে পড়ে মালালার ◈ দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি ◈ ৯টা থেকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্ধরে ফ্লাইট চলাচল শুরু ◈ দ‌লের কা‌ছে নয়, রিশা‌দের কা‌ছে হে‌রে গেলো ও‌য়েস্ট ই‌ন্ডিজ ◈ ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল: সিইসি

প্রকাশিত : ১৮ অক্টোবর, ২০২৫, ০৮:৫৪ রাত
আপডেট : ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিশ্বের শীর্ষ ড্রোন শক্তি: কোন দেশ কতটা এগিয়ে?

আধুনিক যুদ্ধের চেহারা পাল্টে দিচ্ছে বিশ্বের শীর্ষ ড্রোন শক্তি। যুক্তরাষ্ট্রের MQ-9 Reaper থেকে শুরু করে তুরস্কের Bayraktar TB2, চীনের Wing Loong II, রাশিয়ার Okhotnik এবং ইসরাইলের Hermes 900—এই উন্নতমানের মানববিহীন আকাশযান এখন যুদ্ধক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাচ্ছে। আসুন দেখি, কোন দেশ বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক ড্রোন বাহিনী গড়ে তুলেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও বিশ্বে ড্রোন প্রযুক্তির শীর্ষ শক্তি হিসেবে বিবেচিত। তাদের MQ-9 Reaper হল একটি অত্যাধুনিক কমব্যাট ড্রোন, যা টানা ২৭ ঘণ্টার বেশি সময় আকাশে থাকতে সক্ষম এবং ১,৭০০ কেজি পর্যন্ত অস্ত্র বহন করতে পারে। এটি আফগানিস্তান, ইরাক এবং সিরিয়ার মতো যুদ্ধক্ষেত্রে সফলভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর হাতে শত শত MQ-9 ড্রোন রয়েছে, এবং দেশটি নিয়মিতভাবে এর সেন্সর, স্যাটেলাইট লিঙ্ক এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষমতা উন্নত করছে। AeroTime-এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রই এখনও বিশ্বের ড্রোন প্রতিযোগিতায় এগিয়ে।

তুরস্ক:  তুরস্কের Bayraktar TB2 বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত যুদ্ধ-প্রমাণিত ড্রোনগুলোর একটি। এটি সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য এবং বহু দেশে রপ্তানি করা হয়েছে। এর নতুন সংস্করণ, TAI Anka, প্রায় ৩০ ঘণ্টারও বেশি সময় উড়তে সক্ষম এবং মাল্টি-রোল অপারেশনে ব্যবহৃত হয়। তুরস্ক এখন ড্রোন রপ্তানিতে অন্যতম বৃহৎ খেলোয়াড়, যেখানে প্রতিটি ড্রোনের বাজারমূল্য প্রায় ১০–২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন সংঘাতে তুর্কি ড্রোনের সাফল্য বিশ্বজুড়ে এর গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

চীন: চীনের তৈরি ড্রোনগুলো তুলনামূলকভাবে সস্তা হলেও অত্যন্ত শক্তিশালী। Wing Loong II এবং CH-5 Rainbow ড্রোনগুলো ৬০ ঘণ্টা পর্যন্ত আকাশে থাকতে পারে এবং প্রায় ১,০০০ কেজি পর্যন্ত অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। চীন বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ UAV রপ্তানিকারক দেশ। তাদের লক্ষ্য উন্নত সেন্সর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও দূরপাল্লার আঘাত হানার ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশ ইতিমধ্যেই চীনা ড্রোন ব্যবহার করছে।

রাশিয়া: রাশিয়ার Kronshtadt Orion হল তাদের প্রথম দেশীয়ভাবে তৈরি MALE UAV, যা নজরদারি ও আঘাত হানার উভয় কাজেই ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে, S-70 Okhotnik একটি স্টেলথ ফ্লাইং-উইং ড্রোন, যা ম্যানড ফাইটার জেটের সঙ্গে সমন্বয় করে মিশন সম্পন্ন করতে পারে। এটি ঘণ্টায় প্রায় ১,০০০ কিলোমিটার গতিতে উড়তে পারে এবং ভারী অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। রাশিয়া তাদের UAV প্রযুক্তিতে গতি, স্টেলথ ও শক্তিশালী আঘাত ক্ষমতার সমন্বয় ঘটাচ্ছে।

ইসরাইল: ইসরাইলের Hermes 900 ড্রোন ৩৬ ঘণ্টারও বেশি সময় আকাশে থাকতে পারে এবং ৩৫০ কেজি পর্যন্ত উন্নত সেন্সর ও অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। এটি নজরদারি, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। ইসরাইলি ড্রোন বর্তমানে লাতিন আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা তাদের UAV রপ্তানিতে শীর্ষ অবস্থানে রেখেছে।

বিশ্বব্যাপী আগামী প্রজন্মের ড্রোনগুলোতে যুক্ত হতে চলেছে স্বয়ংক্রিয় AI প্রযুক্তি, হাইপারসনিক গতি, স্বয়ংক্রিয় ড্রোন ঝাঁক এবং লেজার অস্ত্রের মতো উদ্ভাবন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের সামরিক ড্রোন বাজারের আকার ৩০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। এটি প্রমাণ করে, ভবিষ্যতের যুদ্ধক্ষেত্রে আকাশ নিয়ন্ত্রণ করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত ড্রোন বাহিনী। সূত্র: দৈনিক ইনকিলাব 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়