শিরোনাম
◈ ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল: সিইসি ◈ চট্টগ্রামে আটটি ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ, কুয়েতের ফ্লাইট বাতিল ◈ শাহজালালে আগুনের সূত্রপাত ও হতাহতের বিষয়ে যা জানা গেল ◈ আগুন লাগার ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন নয়, স্বৈরাচারের দোসরদের চক্রান্তের অংশ: সারজিস ◈ যেখান থেকে শাহজালাল বিমানবন্দর কার্গো এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ◈ ঢাকা বিমানবন্দরের আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে: বেবিচক ◈ কার্গো নিরাপত্তায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কয়েকদিনের মাথায় এই অগ্নিকাণ্ড! ◈ তারেক রহমা‌নের ভাবমূর্তি নির্বাচ‌নে ব্যবহার করতে চায় বিএনপি, হাওয়া ভবনের মেমোরি' বড় চ্যালেঞ্জ ◈ বন্ধুদের অসম্মান হওয়ার ভয়ে তিন লাখের ঘড়ি পরেন না ভারতীয় স্পিনার বরুন চক্রবর্তী ◈ মিরপুরে ২০৭ রানে অলআউট বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:২৬ দুপুর
আপডেট : ১৮ অক্টোবর, ২০২৫, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : এল আর বাদল

ইসরা‌য়ে‌লে ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ, আমেরিকাই গাজা যুদ্ধের মূল স্থপতি: গ‌বেষণা

এল আর বাদল : সরকারী পরিসংখ্যান প্রমাণ করছেক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইলকে কমপক্ষে ১৭.৯ বিলিয়ন ডলার প্রত্যক্ষ সামরিক সহায়তা বরাদ্দ করেছে। তার মানে আমেরিকা গাজা যুদ্ধের কেবল সমর্থকই নয় বরং গাজায় অপরাধের একটি প্রধান অংশীদারও।

মুক্ত গবেষণা কেন্দ্রগুলোর এক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত, ইসরাইলকে মার্কিন সামরিক সহায়তা ১৭.৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে এবং পরোক্ষ সহায়তাসহ এই সংখ্যা ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি হবে। এই সহায়তার অর্থ মূলত লকহিড মার্টিন এবং বোয়িংয়ের মতো আমেরিকার কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে অস্ত্র কেনার জন্য ব্যয় করা হয়। এর মাধ্যমে দেশটির সামরিক শিল্পের জন্য একটি লাভজনক চক্র তৈরি হয়েছে। 

মেহর নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে পার্সটুডে আরও জানায়, আমেরিকার প্রতিটি নাগরিক গাজা যুদ্ধের জন্য গড়ে ৮৫ থেকে ১৬৫ ডলার প্রদান করেছেন, যখন অনেক রাজ্য স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুতর সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। এই বাজেট দিয়ে আমেরিকার ৬০ লক্ষ শিশুর জন্য স্বাস্থ্য বীমা প্রদান করতে পারা যেত কিংবা লক্ষ লক্ষ নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যেত।

আমেরিকার জনমত পরিবর্তিত হচ্ছে বিশেষ করে ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণদের মধ্যে। জরিপগুলোতে দেখা যায় এই বয়সের বেশিরভাগ মানুষ ইসরাইলকে সামরিক সাহায্যের বিরোধিতা করে। এমনকি আমেরিকার ইহুদি সম্প্রদায়ও সমালোচনায় মুখর। এমনকি তারা 'ইহুদিদের জন্য শান্তি' আন্দোলনগুলোও এই সাহায্য বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।

অবশ্য AIPAC-এর মতো শক্তিশালী লবি এবং কংগ্রেসে আধিপত্য বিস্তারকারী দ্বিদলীয় কাঠামোর প্রভাব এই নীতিগুলোকে পরিবর্তন করতে বাধা দিয়েছে। ওবামার ১০ বছরের চুক্তি, যা ইসরাইলকে বার্ষিক ৩.৮ বিলিয়ন ডলার সামরিক সাহায্য বরাদ্দ করে, ২০২৮ সাল পর্যন্ত চলবে।

এই তথ্যগুলো প্রমাণ করে গাজায় আমেরিকার শান্তি মধ্যস্থতার দাবির আড়ালে রয়েছে তার অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত স্বার্থ । যতক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধের এই লাভজনক চক্র চলতে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির কথা নিরর্থকই থেকে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়