আলজাজিরা, বিবিসি: এমন পদক্ষেপের পরও ফিলিস্তিনের গাজায় থামছে না জাতিগত নিধন। সোমবারও ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৭ ফিলিস্তিনি।
রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউরোপের শক্তিধর দেশ ও জাতিসঙ্ঘের ভেটো ক্ষমতাধর ফ্রান্স। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বাকি চারটি ভেটো ক্ষমতাধর দেশেরই স্বীকৃতি পেলো ফিলিস্তিন।
সোমবার বিশেষ জাতিসঙ্ঘ সম্মেলনে এক ভাষণে এই আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির কথা জানান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
ফ্রান্স ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে হচ্ছে এ সম্মেলন।
‘আজ আমি ঘোষণা করছি যে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিলো ফ্রান্স,’ বলেন ম্যাক্রোঁ।
তিনি বলেন, ‘দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের সম্ভাবনা রক্ষা করার জন্য আমাদের ক্ষমতায় যা কিছু আছে তা করার দায়িত্ব আমাদের উপর বর্তায়।’
কিন্তু এমন পদক্ষেপের পরও ফিলিস্তিনের গাজায় থামছে না জাতিগত নিধন। সোমবারও ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৭ ফিলিস্তিনি।
একই দিনে আরো যারা স্বীকৃতি দিলো
ফ্রান্সের সাথে এদিন আরো স্বীকৃতি দিয়েছে বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মালটা, মোনাকো ও আনদোরা।
ফ্রান্সকে স্বাগত জানালো সৌদি আরব
দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান অর্জনের প্রচেষ্টা এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও জাতিসঙ্ঘের প্রধান অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ।
তিনি বলেন, ‘সৌদি আরব ও ফ্রান্সের যৌথ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন ইসরাইলি দখলদার কর্তৃপক্ষ গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে তাদের আগ্রাসন ও নৃশংস অপরাধ অব্যাহত রেখেছে।’
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পশ্চিম তীরে সহিংসতা এবং আরব ও মুসলিম দেশগুলোর ওপর ইসরাইলের বারবার আক্রমণের সমালোচনা করেন। সমালোচনা করেন কাতারের ওপর সাম্প্রতিকতম আক্রমণেরও।
তিনি বলেন, ‘ইসরাইলের এই পদক্ষেপগুলো আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ এবং এ অঞ্চলে শান্তির প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।’
প্রিন্স ফয়সাল জোর দিয়ে বলেন, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান হলো ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি অর্জনের একমাত্র উপায়। বলেন, জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের নিউইয়র্ক ঘোষণায়, যা ১৪২ ভোটে গৃহীত হয়েছে, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ন্যায়বিচার প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ইচ্ছা প্রতিফলিত হয়েছে।
ছিল না যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল
জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের প্রাক্কালে যে বিশেষ সম্মেলনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে সেখানে উপস্থিত ছিল না যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের কূটনীতিকরা।
এর আগে রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া।