শিরোনাম
◈ সালথায় মাদক নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে যুবককে কুপিয়ে পায়ের পাঁচ আঙুল বিচ্ছিন্ন ◈ ইভ্যালির রাসেলকে ধরিয়ে দিতে নগদ পুরস্কারের ঘোষণা, রাজধানীজুড়ে পোস্টার ◈ শুধু গভীর সমুদ্রবন্দর নয়, আমাদের একটা ব্লু ইকোনমি গড়ে তোলার ভিশন নিয়ে কাজ করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা ◈ ৬ সেপ্টেম্বর সব নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ◈ নাটোরে গাঁজা জব্দে গরমিল: ২৮ কেজি উদ্ধারের পর থানায় জমা মাত্র ৭ কেজি! উদ্ধারকারী এসআই ক্লোজড্ ◈ হা‌সিনা পা‌লি‌য়ে যাবার পর আ‌ন্দোল‌নের কৃ‌তিত্ব নি‌য়ে লড়াই চল‌ছে:  আমীর খসরু ◈ পাসপোর্ট ছাড়া ভারতে প্রবেশ করা বাংলাদেশিদের জন্য নতুন নিয়ম চালু ◈ ডাকসু নির্বাচন : যাকে ভোট দিতে বলছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস কক্সবাজারে ◈ লটারিতে নয়, প্রক্রিয়াতেই ডিসি নিয়োগ হবে: জনপ্রশাসন সচিব

প্রকাশিত : ৩১ আগস্ট, ২০২৫, ০১:০৯ দুপুর
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৪:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গাজার আকাশে ড্রোনের ভোঁ ভোঁ শব্দকে গান বানালেন সংগীতশিক্ষক, দুঃসহ যন্ত্রণাকে রূপ দিলেন প্রতিবাদের ভাষায় (ভিডিও)

বিস্ফোরণ-গুলি-ড্রোনের শব্দকে শ্রুতিমধুর সংগীতে রূপান্তর করছেন গাজার শিল্পী আবু আমশা। ছবি: জাতিসংঘ

অবরুদ্ধ উপত্যকা গাজায় আর পাখি গান গায় না, শিশুর হাসিতে মুখরিত হয় না চারপাশ। সারাক্ষণই উপত্যকার কোথাও না কোথাও বিস্ফোরিত হচ্ছে বোমা কিংবা কারও না কারও ওপর নির্বিচারে চালানো হচ্ছে গুলি। সঙ্গে মাথার ওপর অনবরত ইসরায়েলি নজরদারি ড্রোনের ভন ভন শব্দ মাথায় যন্ত্রণা ধরিয়ে দেয়। কিন্তু এই শব্দ থেকে পালানোর কোনো পথ নেই।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকেই গাজার আকাশে বিরতিহীনভাবে উড়ছে ইসরায়েলের শত শত কোয়াডকপ্টার। প্রথম প্রথম এই শব্দ আতঙ্ক তৈরি করলেও এখন এটি এক অসহ্য যন্ত্রণা আর বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গাজার মানুষ এখন আর মরতে ভয় পায় না। কিন্তু অনবরত এই ভোঁ ভোঁ শব্দ আর সহ্য করতে পারছে না তারা। যেকোনো মূল্যে এই শব্দ থেকে মুক্তি চায় গাজাবাসী।

কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার সংবাদদাতা ইব্রাহীম আল খলিলি বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধের বাস্তবতা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। গাজার আকাশে অনবরত কোয়াডকপ্টারের উড়ে বেড়ানো শুধু নজরদারি নয়। এটা এক ধরনের মানসিক যুদ্ধ। বিরামহীন এই শব্দ ভেতর থেকে গাজার মানুষকে ভেঙে দিচ্ছে, অস্থির করে তুলছে।’

এবার সেই অসহ্যকর শব্দ থেকে বাঁচার অভিনব এক পন্থা আবিষ্কার করেছেন উপত্যকার এক গানের শিক্ষক। ড্রোনের এই ভোঁ ভোঁ শব্দকে তিনি পরিণত করেছেন শ্রুতিমধুর গানে। আবু আমশা নামের ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আমাদের যা নিয়ে বাঁচতে হয়, যার ভুক্তভোগী আমরা—তা থেকেই আসলে এই আইডিয়াটা আসে। শিশুরা আমাকে এসে যখন বলল যে এই শব্দে ওরা বিরক্ত, ক্লান্ত, তখন আমি বললাম, না আমাদের এই শব্দের সঙ্গেই গান গাইতে হবে। বাজে এই শব্দটাকেই আমরা ভালো কিছুতে রূপান্তর করব।’

তিনি জানান, ড্রোনের শব্দের সঙ্গে সুর মিলিয়ে গাওয়া বিভিন্ন গান তারা রেকর্ড করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে আপলোড করেন। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের নির্মম শব্দকে সুন্দর কিছুতে পরিণত করাটাই আসল উদ্দেশ্য ছিল আমাদের।’

তিনি বলেন, এই গানগুলো শিল্প তৈরির উদ্দেশ্যে বানানো হয়নি। বরং ইসরায়েল এবং পুরো বিশ্বকে এই বার্তা দেওয়ার জন্য যে, গাজার মানুষের জীবন কেমন হবে তা নজরদারির জন্য তৈরি বিশ্রী শব্দ করা একটা যন্ত্র ঠিক করে দিতে পারে না। এটাও প্রতিবাদের একটা ভাষা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়