শিরোনাম
◈ বিমান বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে আসিফ নজরুল, ভুয়া ভুয়া স্লোগান (ভিডিও) ◈ প্রশিক্ষণ ফ্লাইট কেন ঢাকায়? যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা ◈ প্রবাসে বাংলাদেশের গর্ব: নিউইয়র্ক পুলিশ কর্মকর্তা হলেন শরীয়তপুরের ইউসুফ রানা ◈ মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ জন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৭৮ ◈ ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের আকস্মিক পদত্যাগ ◈ নির্বাচনে পরাজয় সত্ত্বেও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা ছাড়তে চান না ◈ আজ বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে ১ মিনিট নিরবতা, সবার বাহুতে থাকবে কালো ব্যাজ ◈ মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, হতাহতের তথ্য গোপন করা হচ্ছে এ দাবি সঠিক নয় ◈ মাইল‌স্টোন ক‌লেজ ক‌্যাম্পা‌সে বিমান দুর্ঘটনায় মন কাঁদছে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ◈ মঙ্গলবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত

প্রকাশিত : ২০ জুলাই, ২০২৫, ০৭:০৬ বিকাল
আপডেট : ২২ জুলাই, ২০২৫, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঐতিহ্য রক্ষায় দুই ভাই বিয়ে করলেন এক নারীকে, খুশি নববধূও (ভিডিও)

ভারতের হিমাচল প্রদেশে সম্প্রতি এক নারীকে বিয়ে করেছেন আপন দুই ভাই। এ বিয়ের মাধ্যমে মূলত হট্টি জনগোষ্ঠীর বহুবিবাহের প্রাচীন পলিয়ান্ড্রি প্রথাকে টিকিয়ে রেখেছেন ওই নারী। ব্যতিক্রমী এই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন শতাধিক মানুষ।

রোববার (২০ জুলাই) সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১২ জুলাই হিমাচল প্রদেশের সিরমাউর জেলার ট্রান্স-গিরি এলাকায় তিন দিন ধরে চলে এই বিয়ের অনুষ্ঠানিকতা। এতে গান-বাজনা, লোকনৃত্য এবং উৎসবমুখর পরিবেশে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

 প্রতিবেদনে বলা হয়, কনে সুনীতা চৌহান এবং বর প্রদীপ ও কপিল নেগি বলেছেন, তারা কোনো ধরনের চাপ ছাড়াই এই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
 
বিয়ের অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। হিমাচল প্রদেশের রাজস্ব আইন এই প্রাচীন এই বিয়েকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং এর নাম দিয়েছে ‘জদিদারা’। ট্রান্স-গিরির বাধানা গ্রামে গত ছয় বছরে এই ধরনের পাঁচটি বিয়ে হয়েছে।
 
 কনে সুনীতা বলেন, ‘প্রথা সম্পর্কে আমি সচেতন ছিলাম। কোনো চাপ ছাড়াই আমি এই বিয়েতে রাজি হয়েছি।’
 
এনডিটিভি বলছে, বর প্রদীপ সরকারি চাকরি করেন। তার ছোট ভাই কপিল বিদেশে কর্মরত। পরিবারের চাপে নয়, বরং এই চিরাচরিত প্রথাকে জীবিত রাখতেই পরিবারের সম্মতিতে তারা দুইজনেই সুনীতাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।

প্রদীপ বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রথা নিয়ে গর্ব করি। তাই গোপনে নয়, সম্মানের সঙ্গে সবাইকে জানিয়ে বিয়েটা করেছি। সিদ্ধান্তটা ছিল আমাদের তিনজনের সম্মিলিত।’
 
কপিল বলেন, ‘আমি দেশে না থাকলেও আমরা একত্রে আমাদের স্ত্রীর পাশে আছি-ভালোবাসা, স্থিতিশীলতা ও দায়িত্ব নিয়ে।’
 
 হট্টি জনগোষ্ঠী মূলত হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডের সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী একটি সম্প্রদায়। ভারতে তিন বছর আগে এই গোষ্ঠীকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘তালিকাভুক্ত উপজাতি’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
 
হিমাচল প্রদেশের সিরমাউর জেলায় দশকের পর দশক ধরে এই প্রথা চলে আসছে। এখনও জারি রয়েছে সেই নিয়ম। যদিও ভারতে আইনত বৈধ নয় এই একাধিক বিয়ের নিয়ম।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়