গত ফেব্রুয়ারিতে ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক বিতর্কিত বৈঠকে অংশ নেন জেলেনস্কি, যেখানে তার সাধারণ খাকি টি-শার্ট ও সামরিক পোশাক নিয়ে এক মার্কিন সাংবাদিক প্রকাশ্যে সমালোচনা করেন। অভিযোগ ছিল—যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে তিনি যথেষ্ট ‘সম্মানজনক’ পোশাক পরেননি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার পরিচিত খাকি রঙের যুদ্ধকালীন পোশাক থেকে ধীরে ধীরে সরে এসে এখন আরও শালীন ও কূটনৈতিক পোশাকে দেখা দিচ্ছেন—তবে এখনও কিছুটা ‘মিলিটারি টাচ’ রেখে দিয়েছেন।
এরপর থেকে জেলেনস্কি তার পোশাকের ধরন খানিকটা পরিবর্তন করেন। খাকি বাদ দিয়ে তিনি এখন কালো ফিল্ড জ্যাকেট ও কালো শার্ট পরছেন—যদিও টাই বা সাদা শার্ট এখনও পরছেন না।
এই পোশাক তিনি পরেছেন রোমে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতে, লন্ডনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাতে এবং হেগে চলমান ন্যাটো সম্মেলনের আগে রাজকীয় নৈশভোজেও।
ইউক্রেনের ইএলএলই ম্যাগাজিন এ পরিবর্তনকে বলেছে ‘এক নতুন ধরণের ভিজ্যুয়াল ডিপ্লোম্যাসি’।
সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা চলছে। জেলেনস্কির এ রূপান্তরকে অনেকেই দেখছেন কূটনৈতিক বার্তা হিসেবে—তিনি এখনও যুদ্ধে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন, তবে পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের জন্য পোশাকে নমনীয়তা এনেছেন।
যদিও ট্রাম্প এখনও যুদ্ধ-উপকরণ সহায়তা চালু করেননি, তবুও জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে সচেষ্ট। তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে অস্ত্রের চাহিদা তালিকা তুলে ধরেছেন।