স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। যার প্রভাব পড়বে আনুমানিক ৭৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্যের ওপর। এটি মোট দ্বিপাক্ষিক আমদানির প্রায় ৪২ শতাংশ। এমন তথ্য জানিয়েছে গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (জিটিআরআই)। খবর: দ্য ইকোনমিক টাইমস
ভারতের এই পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এবং প্লাস্টিক সামগ্রীসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পণ্য শুধু নির্দিষ্ট সমুদ্রবন্দর দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে অথবা কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে স্থলপথে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যেমন বাংলাদেশি তৈরি পোশাক এখন শুধু কলকাতা ও নাওয়াশেবা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে।
জিটিআরআই জানিয়েছে, ভারতের এই পদক্ষেপ এককভাবে নেওয়া নয় বরং বাংলাদেশ কর্তৃক ভারতীয় রপ্তানির ওপর আরোপিত নানা বাধা এবং চীনের প্রতি ঢাকার কূটনৈতিক ঝোঁকের প্রতিক্রিয়ায় এসেছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরের সময় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে সমুদ্রবন্দরহীন ভূমিবেষ্টিত অঞ্চল হিসেবে বর্ণনা করায় এই উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
২০২৫ সালের মার্চে ড. ইউনূসের চীন সফরের সময় ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ ও সহযোগিতা চুক্তি সই হয়। তাছাড়া শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশে যে পরিবর্তন এসেছে তা মূলত চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে ভারত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের শেষ থেকে বাংলাদেশ একাধিক ভারতীয় রপ্তানি পণ্যে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় সুতা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা, চাল রপ্তানিতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ এবং কাগজ, তামাক, মাছ ও গুঁড়োদুধের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা। তাছাড়া বাংলাদেশ ভারতীয় পণ্য পরিবহনে ট্রানজিট ফি আরোপ করেছে।
ভারতীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, এসব বিধিনিষেধ ও কঠোর কাস্টমস কার্যক্রম ভারতীয় রপ্তানিকারকদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করেছে।
এই বাণিজ্যিক টানাপোড়েন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্যও সমস্যার সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশের ট্রানজিট ফি ও নিষেধাজ্ঞা ওই অঞ্চলের শিল্প উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও দাবি করা হয়। অনুবাদ: জাগোনিউজ২৪