শিরোনাম
◈ বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন ◈ রংপুরের হাসপাতাল নেপাল ও ভুটানের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে: প্রধান উপদেষ্টা ◈ ড. ইউনূসের কোনো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নেই: প্রেস সচিব ◈ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে ডিএমপির বার্তা ◈ আ. লীগের নিবন্ধন বাতিল ইস্যুতে বৈঠক শেষে যা বলছে ইসি (ভিডিও) ◈ প্রবাসী আয়ে সর্বকালের রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ! ◈ জুলাই-আগস্টের সকল হত্যাকাণ্ডের দায় শেখ হাসিনার: চিফ প্রসিকিউটর ◈ স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে প্রয়োজন সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা : প্রধান উপদেষ্টা ◈ চোখ বেঁধে গুজরাট থেকে উড়োজাহাজ-লঞ্চে করে আনা হয়েছে, জানালেন ভুক্তভোগীরা ◈ টেস্ট থেকে অবসরে কোহলি

প্রকাশিত : ১২ মে, ২০২৫, ১২:৫২ রাত
আপডেট : ১২ মে, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ট্রাম্প যাচ্ছেন সৌদি আরবে, তবে অধরাই থেকে যাচ্ছে বহুল আলোচিত স্বপ্ন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার (১৩ মে) সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের মাটিতে পা রাখতে যাচ্ছেন। তাকে স্বাগত জানাতে আয়োজনের কোনো কমতি রাখছেন না যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। স্বর্ণ খচিত প্যালেসে থাকবে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন এবং যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ। কিন্তু ট্রাম্প এতদিন ধরে সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার যে স্বপ্ন দেখে আসছিলেন, গাজায় যুদ্ধের কারণে সেই স্বপ্ন যেন তার অধরাই থেকে যাবে। খবর রয়টার্স

তবে ট্রাম্পের স্বপ্ন পূরণে মরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। গাজায় দ্রুত যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলকে চাপ দিচ্ছে মার্কিন কর্মকর্তারা। সৌদি আরবেরও দাবি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে যদি গাজায় যুদ্ধবিরতি হয়। গালফ উপসাগরীয় দেশটির দুটি এবং মার্কিন একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। 

চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, তিনি শিগগিরই আব্রাহাম চুক্তি সম্প্রসারণে অগ্রগতির আশা করছেন। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এই চুক্তির আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কো ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়।

উইটকফ তার বক্তৃতার একটি ভিডিওতে বলেছেন, ‘আমরা মনে করি, খুব শিগগিরই কিছু বা অনেকগুলো ঘোষণা আসতে যাচ্ছে। যেগুলো আগামী বছরের মধ্যে অগ্রগতি বয়ে আনবে বলে আমরা আশা করি।’ ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরে তার সঙ্গী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধে অথবা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনে যেভাবে বিরোধিতা করছেন, তাতে সৌদি আরবের সঙ্গে একই ধরনের আলোচনায় অগ্রগতি অসম্ভব বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট দুইটি সূত্র।

সৌদি আরব ইসরায়েলকে কখনও বৈধ রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। এর অর্থ হলো মধ্যপ্রাচ্যে অর্থনৈতিক এবং সামরিক শক্তিতে এগিয়ে থাকা এই দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। 

তবে সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করণের সমর্থনকারীরা বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হলে এ অঞ্চলে উন্নতি এবং স্থিতিশীলতা বয়ে আনবে। অন্যদিকে ইরানের প্রভাব কমাবে। 

পবিত্র ইসলাম ধর্মের জন্মভূমি সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্থাপন করা গাজা যুদ্ধের কারণে স্পর্শকাতর ও বিতর্কিত ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছয়টি সূত্র (সৌদির দুটি এবং যুক্তরাষ্ট্রের দুটি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, গাজা যুদ্ধের ফলে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সময় দ্বিপাক্ষিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এই ইস্যুটি এখন ওয়াশিংটন ও সৌদি আরবের মধ্যে অর্থনৈতিক ও অন্যান্য নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মধ্যস্থকারী ডেনিস রস বলেছেন, সৌদি আরবের ডি ফ্যাক্টো নেতা ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করণের আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন চাইছেন। 

ওই ছয়টি সূত্র জানিয়েছে, এবারের ট্রাম্পের সফরকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন ও রিয়াদ মূলত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব ও অন্যান্য আঞ্চলিক বিষয়ে গুরুত্ব দেবে। 

উভয় পক্ষের কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন- অস্ত্র চুক্তি, মেগা-প্রকল্প এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংক্রান্ত আকর্ষণীয় বিনিয়োগগুলো আলোচনায় রয়েছে।

তারা মনে করছেন, সফরের আগে সৌদি ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনায় এই কৌশলটি পাকাপোক্ত হয়েছে। এটি ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় সফর। এ সফরের লক্ষ্য হলো—মার্কিন কোম্পানিগুলোতে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ নিশ্চিত করা। অনুবাদ: চ্যানেল

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়