শিরোনাম
◈ ‘ভারত ফের হামলা না করলে দায়িত্বজ্ঞানহীন কোনো পদক্ষেপ নেবে না পাকিস্তান’ ◈ ঈদের আগের দুই শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খোলা ◈ পুলিশের শীর্ষস্থানীয় ১৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ ভারত থেকে এভাবে 'পুশ–ইন' সঠিক নয়: নিরাপত্তা উপদেষ্টা ◈ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ মার্কিন কৌশলগত স্বার্থের ক্ষতি করবে ◈ সোহান ও অঙ্কনের সেঞ্চুরি, নিউ‌জিল‌্যা‌ন্ডের বিরু‌দ্ধে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ এ’ দল ◈ ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদারে আগ্রহী সংযুক্ত আরব আমিরাত’ ◈ যে কারণে ভারত বনাম পাকিস্তান যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্র বনাম চীন যুদ্ধও! ◈ জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের প্রস্তাব ইসলামী আন্দোলনের ◈ ভারত-পাকিস্তান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত : ০৭ মে, ২০২৫, ১২:৫৭ দুপুর
আপডেট : ০৮ মে, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমাদের গোয়েন্দা তথ্য নিশ্চিত করেছিল, ভারতের বিরুদ্ধে আরও সন্ত্রাসী হামলার প্রস্তুতি চলছে: ভারতের পররাষ্ট্রসচিব

সংবাদ সম্মেলনে বিক্রম মিশ্রি ও অন্যান্যরা। ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার জবাবেই পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে একযোগে বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালিয়েছে ভারত। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চালানো এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিন্দুর’। এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের খবরে বলা হয়, এই অভিযানে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখা—সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী—একযোগে অংশ নেয়। পাকিস্তানের ভেতরে এবং আজাদ কাশ্মীরে মোট ৯টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে বলেও দাবি করেছে ভারত। পাকিস্তান জানিয়েছে, এই হামলায় এখন পর্যন্ত ২৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে আরও ৪৫ জনের মতো।

আজ বুধবার নয়াদিল্লিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি এই অভিযানের ব্যাপারে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘পেহেলগামের হামলার উদ্দেশ্য ছিল জম্মু ও কাশ্মীরে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিঘ্নিত করা। এই হামলা ছিল চরম নিষ্ঠুর ও পরিকল্পিত। অধিকাংশ ভিকটিমকেই খুব কাছ থেকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, পরিবারের সদস্যদের সামনেই। উদ্দেশ্য ছিল আতঙ্ক তৈরি করা এবং তাদের মানসিকভাবে ভেঙে দেওয়া।’

বিক্রম মিশ্রি জানান, ‘ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আগেই আশঙ্কা করেছিল যে, দেশটির বিরুদ্ধে আরও সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে। সেই প্রেক্ষিতেই প্রতিক্রিয়ামূলক পদক্ষেপ হিসেবে চালানো হয়েছে এই অভিযান।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের গোয়েন্দা তথ্য নিশ্চিত করেছিল, ভারতের বিরুদ্ধে আরও হামলার প্রস্তুতি চলছে। তাই আজ বুধবার সকালের অভিযানে আমরা আমাদের প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার প্রয়োগ করেছি। এই পদক্ষেপ ছিল পরিমিত, দায়িত্বশীল এবং উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য নয়। আমরা শুধু সন্ত্রাসী অবকাঠামোগুলো নিশানা করেছি।’

পাকিস্তানকে সরাসরি দায়ী করে ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিব বলেন, পেহেলগাম হামলার পর ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও পাকিস্তান তার ভূখণ্ডে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। তিনি বলেন, ‘এটা অপরিহার্য ছিল যে, হামলাকারী ও এর পরিকল্পনাকারীদের বিচারের আওতায় আনা হোক। কিন্তু পাকিস্তান এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় থেকেছে।’

ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, শিয়ালকোটসহ পাকিস্তানের অভ্যন্তরে চারটি এবং পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরে পাঁচটি অবস্থানে হামলা চালানো হয়। এই অভিযান লক্ষ্য করে চালানো হয় জয়শ-ই-মুহাম্মদ ও লস্কর-ই-তৈয়্যবার ঘাঁটিগুলো, যেগুলো থেকে ভারতে হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল।

ভারতীয় বাহিনীর দাবি, এই অভিযানে নির্ধারিত সব টার্গেটে সফলভাবে আঘাত হানা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অপারেশন সিন্দুর ছিল একমাত্র প্রতিক্রিয়ামূলক পদক্ষেপ, যার উদ্দেশ্য সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলো ধ্বংস করা। এটি ছিল ২২ এপ্রিলের পেহেলগাম হামলার সরাসরি জবাব।’

উল্লেখ্য, পেহেলগামের সেই হামলায় ২৫ জন ভারতীয় নাগরিক ও একজন নেপালি নাগরিক নিহত হন। আহত হন আরও অনেকে। হামলার পদ্ধতি ও নিষ্ঠুরতা গোটা দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দেয়। সূত্র: আজকের পত্রিকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়