পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের অভিযোগ, ওই ঘটনায় সীমান্তপারের যোগ রয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। এএনআই সূত্রে খবর, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে পাকিস্তানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, পেহেলগামের ওই ঘটনায় লস্কর-ই তৈয়বার কোনও যোগ রয়েছে কিনা।
দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের পরামর্শও দেয়া হয়েছে পাকিস্তানকে। যদিও সেই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দু’সপ্তাহ পেরিয়ে যাবার পর এখনও অধরা মাস্টারমাইন্ডরা। কেন এখনও অধরা ? এই প্রশ্নে মোদি সরকারকে বারবার বিদ্ধ করেছেন বিরোধীরা। এবার পেহেলগাম হামলার ১৪ দিনে মোদি সরকারের কাছে ১৪ দফা প্রশ্ন তুলে ধরলো পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সন্ত্রাসী হামলায়, স্বজনহারা পরিবার, দেশের নিরাপত্তা নিয়ে একে একে ১৪টি প্রশ্ন তোলা হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের তরফে। সেইসঙ্গে কটাক্ষ করে দাবি, ‘উত্তর দিন মৌনমোদী।’শোকের আবহেও দেশজুড়ে ক্ষোভের আঁচ দেখা গেছে। প্রত্যাঘাত চাইছেন সকলে। দফায় দফায় সেনাবাহিনীর প্রধান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক সারছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তৎপরতা সেনাবাহিনীতেও।
জোর দেয়া হয়েছে মহড়ায়। যুদ্ধ যুদ্ধ আবহ। তবে এখনও পর্যন্ত হামলাকারীদের নাগাল পাওয়া যায়নি। এবার তৃণমূলের তরফে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হল সোশাল মিডিয়ায়। নৃশংস হামলার ১৪ দিন পর প্রশ্ন তোলা হলো -
অবিচারের ৩৩০ ঘণ্টা পার, তবু কেন সব সন্ত্রাসী এখনও ধরা পড়ল না?
তদন্তের অগ্রগতি কী?
কেন আগাম ইঙ্গিত সত্ত্বেও এত বড় হামলা এড়ানো গেল না?
কেন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ না করে প্রধানমন্ত্রী বিহারের নির্বাচনী প্রচার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন?
এই মুহূর্তে দেশের সুরক্ষায় কী ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্র?
এমন হাজারো প্রশ্নের মাঝে রয়েছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি জিজ্ঞাসাও। সীমান্ত সুরক্ষার কাজ করতে গিয়ে পাক রেঞ্জার্সের হাতে ‘বন্দি’ পশ্চিমবঙ্গের জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউকে কবে দেশে ফেরানো হবে?