রেকর্ড দামে স্বর্ণের বাজার চড়লেও ধাক্কা খেয়েছে গয়নার বিক্রি। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) গয়নার চাহিদা কমেছে ১৮ শতাংশ। বিক্রি হয়েছে মাত্র ৭.৯ টন, যেখানে গত বছর একই সময়ে তা ছিল ৯.৬ টন। খবর খালিজ টাইমস
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম আউন্স প্রতি ছুঁয়েছে ৩ হাজার ৫০০ ডলার। দুবাইয়ে ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের দাম উঠেছে প্রতি গ্রামে ৪২০ দিরহাম পর্যন্ত। ফলে সাধ্যের বাইরে চলে যাওয়ায় পিছিয়ে গেছেন সাধারণ ক্রেতারা। কেউ আগের গয়না বিক্রি করে দিচ্ছেন, কেউ আবার ঝুঁকছেন অপেক্ষাকৃত সস্তা ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের দিকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু উচ্চ দামই নয়- ভারত সরকারের স্বর্ণ আমদানিতে শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্তও প্রভাব ফেলেছে ইউএই-র বাজারে। কারণ এখানকার বড় একটি ক্রেতাশ্রেণি গঠিত ভারতীয় পর্যটক ও প্রবাসীদের নিয়ে।
বার ও কয়েনের চাহিদাও কমেছে ৫ শতাংশ, দাঁড়িয়েছে ৩.১ টনে। সব মিলিয়ে ইউএই-তে ভোক্তা পর্যায়ে মোট স্বর্ণের চাহিদা কমেছে ১৫ শতাংশ, যা এখন ১১ টন।
বিশ্ববাজার বিশ্লেষক লুইস স্ট্রিট জানিয়েছেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কনীতি ও বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কায় বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণকে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। এর জেরে বছরের শুরুতেই স্বর্ণের বৈশ্বিক চাহিদা রেকর্ড হারে বেড়েছে।’
তবে চিত্রটা ভিন্ন সৌদি আরবে। ঈদ সামনে রেখে উৎসবের আমেজে সেখানে গয়নার চাহিদা বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। বারের ও কয়েনের চাহিদাও বেড়েছে ১৫ শতাংশ।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল জানিয়েছে, ‘উপসাগরীয় অঞ্চলে অর্থনৈতিক চাপে থাকলেও স্বর্ণের প্রতি মানুষের আস্থা অটুট। মূল্য সংরক্ষণের মাধ্যম এবং সংস্কৃতির অংশ হিসেবে এখানকার মানুষের কাছে স্বর্ণের গুরুত্ব অপরিসীম।’