মনিরুল ইসলাম : এফডিসি ছিলো তার প্রতিদিন পদচারণ, সুটিং, আড্ডা ছিলো যার জীবনের অংশ। একদিন এফডিসিতে না আসলে যার মন ভরতো না। তিনি আজ এফডিসিতে ইচ্ছে করলেই আসতে পারেন না। শারীরিক ব্যাধী তাকে কাবু করে ফেলেছে। তিনি হচ্ছেন,ঢাকাই চলচ্চিত্রের একসময় বড় পর্দায় খলচরিত্রে নিয়মিত মুখ ইসমাইল হোসেন। যাঁকে সবাই ফকিরা নামে চেনেন। ৭০০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করা এই অভিনেতা। এখন শয্যাশায়ী। তিনবার স্ট্রোক করে ৬৫ বছর বয়সী এই অভিনেতা এখন কথা বলতে পারেন না।
ঢাকাই চলচ্চিত্রের খলনায়ক চরিত্রে নিয়মিত মুখ ছিলেন ইসমাইল হোসেন, যিনি সবার কাছে ফকিরা নামে পরিচিত। ৭০০-রও বেশি সিনেমায় অভিনয় করা এই অভিনেতা আজ গুরুতর অসুস্থ। তিন দফা স্ট্রোকে আক্রান্ত ৬৫ বছর বয়সী ফকিরা এখন শয্যাশায়ী, এমনকি কথা বলতেও অক্ষম।
একসময় প্রতিদিনের পদচারণ ছিল বিএফডিসি—সুটিং আর আড্ডায় ভরা। কাজ থাকুক বা না থাকুক, নিয়মিত আসতেন এফডিসিতে। সেই মানুষটিকে আজ চার দেয়ালের মধ্যে বন্দী থাকতে হচ্ছে।
সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে ফকিরার বাসায় যান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অভিনেতা সনি রহমান। সেখানেই ফকিরা তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল এফডিসিতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
অভিনেতার ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানিয়ে পরিবারের সহযোগিতায় সনি রহমান তাঁকে এফডিসিতে নিয়ে আসেন। প্রিয় কর্মস্থলে ফিরে এসে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ফকিরা। মুখে কথা বলতে না পারলেও তাঁর চোখে-মুখে ফুটে উঠেছিল ভিন্নরকম অনুভূতি, ঝরছিল আনন্দাশ্রু। এ সময় সনি রহমান তাঁকে এফডিসির বিভিন্ন জায়গা ঘুরিয়ে দেখান।
সনি রহমান জানান, ফকিরার অসুস্থতার খবর জানার পর চলচ্চিত্রের শিল্পীরা নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন। পাশাপাশি ফকিরার চিকিৎসায় পরিবারকে সহায়তা করতে শিল্পী সমিতি সবসময় পাশে থাকবে।