আমির খান একজন মার্কেটিং জিনিয়াস হিসেবে পরিচিত এবং তার ছবি প্রচারের জন্য তিনি সবসময় অভিনব ও যুগান্তকারী কৌশল ব্যবহার করেন। তার আসন্ন ছবি ‘সিতারে জমিন পার’-ও এর ব্যতিক্রম নয়। ছবিটি মুক্তির আগেই এর প্রদর্শনী কৌশল নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।
বলিউড হাঙ্গামা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে যে, ছবিটির পরিবেশকরা এর মুক্তির তৃতীয় সপ্তাহের জন্য মাল্টিপ্লেক্স এবং সিঙ্গল স্ক্রিনের মালিকদের কাছে কিছু স্পষ্ট নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। এই পদক্ষেপটিকে ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে অভূতপূর্ব বলে মনে করা হচ্ছে।
পরিবেশকদের পাঠানো নির্দেশিকাগুলো হলো:
১. উইকেন্ডে টিকিটের দাম বাড়ানো যাবে না: সাধারণত সপ্তাহান্তের ছুটিতে (শনি ও রবিবার) টিকিটের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ‘সিতারে জমিন পার’-এর ক্ষেত্রে সপ্তাহের সাধারণ দিন এবং সপ্তাহান্তের দিনের টিকিটের দাম একই রাখতে হবে।
২. রাত ১০টার পর কোনো শো নয়: বড় বাজেটের ছবিগুলোর জন্য প্রেক্ষাগৃহে প্রায়ই গভীর রাতের শো রাখা হয়। তবে এই ছবির ক্ষেত্রে রাত ১০টার পর কোনো শো চালানো যাবে না।
৩. সকাল ১০টার আগে অতিরিক্ত শো রাখা যাবে না: সকালের দিকে খুব বেশি শো না রেখে, ভালোভাবে সাজানো এবং সীমিত সংখ্যক শো রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, সকালের শো দিয়ে হল "ভর্তি" বা বিশৃঙ্খল করা যাবে না।
এই সিদ্ধান্তের কারণ কী?
প্রদর্শনী ক্ষেত্রের (Exhibition Sector) একটি সূত্র জানিয়েছে, "এই কৌশলটি ছবিটিকে একটি নিখুঁত পারিবারিক চলচ্চিত্র (Family Film) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নেওয়া হয়েছে। নির্মাতারা চান যেন পরিবারগুলো একসঙ্গে এসে ছবিটি উপভোগ করে। রাত ১০টার পর শো না রাখার সিদ্ধান্তটিও এই ভাবনা থেকেই নেওয়া, যাতে দর্শকরা, বিশেষ করে পরিবারের সদস্যরা, সঠিক সময়ে বাড়ি ফিরতে পারেন।"
সূত্রটি আরও যোগ করেছে, "সকালের দিকে শো কমানো এবং উইকেন্ডে দাম না বাড়ানোর উদ্দেশ্য হলো ছবিটির 'প্রিমিয়াম' ভাবমূর্তি এবং মর্যাদা বজায় রাখা। নির্মাতারা চান না যে ছবিটি অন্যান্য সাধারণ বাণিজ্যিক ছবির ভিড়ে হারিয়ে যাক। এটি একটি বিশেষ চলচ্চিত্র এবং এর প্রদর্শনও সেভাবেই হওয়া উচিত।"
এটি সত্যিই একটি বিরল এবং সাহসী পদক্ষেপ, যা ভারতীয় সিনেমার ব্যবসায়িক মডেলে নতুনত্ব আনতে পারে। সূত্রটির মতে, "শুধুমাত্র আমির খানই এমন একটি গেম-চেঞ্জিং পদক্ষেপ নিতে পারেন এবং এটিকে সফল করার ক্ষমতা রাখেন।"