শিরোনাম
◈ আসিফ-ইশরাকের পরস্পর দোষারোপ, বাড়ছে উত্তাপ! ◈ উত্তরার অবৈধ ফার্নিচার মার্কেট: কোটি টাকার ভাড়া যাচ্ছে কার পকেটে? ◈ প্রতিষ্ঠানের ভুলে পরীক্ষাবঞ্চিত দুই শিক্ষার্থী: এক বছরের ক্ষতির দায় নেবে কে? ◈ উত্তরায় কিশোর গ্যাং দমনে যুদ্ধের ঘোষণা ডিসি মহিদুলের ◈ হাতিয়ায় গুজবের তোলপাড়: পুকুরে কুমির নয়, ছিল গুইসাপ! ◈ শাজাহানপুরে বিএনপিকে হুমকি দিয়ে আওয়ামী লীগের পোস্টার, রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়ানোর আশঙ্কা ◈ চুয়ান্ন বছরেও মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ হয়নি: উপদেষ্টা ফারুক ই আজম ◈ টাঙ্গুয়ার হাওরে ৫ পর্যটকের কারাদণ্ড ◈ ইরানের বিজয়ের কথা শুনেই রেজা পাহলভি হাসপাতালে ভর্তির খবর ভুয়া দাবি তাঁর কার্যালয়ের ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের নিয়োগদাতা আমরা না: সারজিস আলম (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৬ জুন, ২০২৫, ০৫:১৬ বিকাল
আপডেট : ২৭ জুন, ২০২৫, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘সিতারে জমিন পর’-এর সাফল্য প্রমাণ করল, কনটেন্টই রাজা: মন ছুঁয়ে যাওয়া গল্পের জয়জয়কার

সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া আমির খান অভিনীত ‘সিতারে জমিন পর’ বক্স অফিসে এবং সমালোচকদের কাছে বিপুল প্রশংসা কুড়িয়েছে। বড় বাজেটের অ্যাকশন এবং ভিজ্যুয়াল এফেক্টস নির্ভর সিনেমার ভিড়ে এই ছবির সাফল্য আবারও পুরনো প্রবাদটিকেই সত্যি প্রমাণ করল— "কনটেন্টই আসল রাজা"। ছবিটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে, একটি সৎ এবং হৃদয়স্পর্শী গল্পই ভারতীয় সিনেমার দর্শকদের মনে সবচেয়ে বেশি জায়গা করে নিতে পারে। খবর: বলিউড হাঙ্গামা।

আর. এস. প্রসন্ন পরিচালিত এই ছবিটি স্প্যানিশ চলচ্চিত্র ‘ক্যাম্পেওনেস’-এর আনুষ্ঠানিক রিমেক। ছবির গল্প এক বিতর্কিত ক্রিকেট কোচকে ঘিরে, যিনি শাস্তি হিসেবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ক্রিকেটারদের একটি দলকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্ব পান। ছবির মূল শক্তি হলো এর মানবিক আবেদন, সহানুভূতি এবং প্রতিকূলতাকে জয় করার স্পৃহা, যা দর্শকদের গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগৎ যখন భారీ বাজেটের অ্যাকশন ছবির দিকে ঝুঁকছে, তখন ‘সিতারে জমিন পর’-এর মতো একটি ছবি নির্মাতাদের জন্য একটি মাস্টারক্লাস হিসেবে কাজ করেছে। এটি মনে করিয়ে দেয় যে, তারকাখ্যাতি বা চোখধাঁধানো দৃশ্যের চেয়েও একটি ভালো গল্প অনেক বেশি শক্তিশালী। আমির খান, জেনেলিয়া দেশমুখ এবং ছবির অন্যান্য কলাকুশলীদের অনবদ্য অভিনয় ছবিটিকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে।

এই ছবির সাফল্য আমির খানের আগের ছবি ‘তারে জমিন পর’-এর কথা মনে করিয়ে দেয়। দুটি ছবিতেই সংবেদনশীল বিষয় এবং আবেগঘন গল্প বলার উপর জোর দেওয়া হয়েছে, যা দর্শকদের সঙ্গে একাত্ম হতে সাহায্য করেছে।

‘সিতারে জমিন পর’-এর এই জয়যাত্রা ভারতীয় সিনেমার জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা। এটি প্রমাণ করে যে, জাঁকজমক বা তারকাখ্যাতির চেয়েও একটি সৎ ও হৃদয়গ্রাহী গল্প দর্শকদের মনে অনেক বেশি জায়গা করে নিতে পারে এবং দিনের শেষে ভালো সিনেমাই শেষ কথা বলে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়