ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা এ ঘটনার বিষয়ে নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। তিনি লেখেন, ‘লাভলুরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে এলাম। গণহত্যাকারী টিচারদের ব্যাপারেও আমাদের সেইম স্ট্যান্ডই থাকবে। উনাদের নিয়ে কেউ সুশীলতা করলে তাদেরও হিসাব নেওয়া হবে।’
নিজের পোস্টে তিনি আরও লেখেন, ‘এই জায়গায় কেউ তোষামোদি বা ক্ষমতার লোভে আসি নাই। আমরা ২০০০ শহিদদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে তাদের জন্য ইনসাফ আনার শপথ নিয়ে আসছি। এইখানে গাদ্দার ও গাদ্দারির কোনো স্থান নাই।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা হয়েছে সোমবার। এরপর ফেসবুকে হাসিনার ছবি সংবলিত ‘আই ডোন্ট কেয়ার’ লেখা একটি ফটোকার্ড পোস্ট করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার লাভলু মোল্লা শিশির। বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এরপর সোমবার মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাকে শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন।
ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালিদ মনসুর। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী লাভলুকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’