শিরোনাম
◈ আর্থিক দুর্নীতির মামলায় প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামীর বিরুদ্ধে দিল্লির আদালতে চার্জশিট জমা ◈ হামজা চৌধুরীর অভিনন্দন বার্তা পে‌য়ে বিস্মিত মুশফিকুর র‌হিম ◈ ঢাকাসহ বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানে ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্প ◈ ভারত–বাংলাদেশ নিরাপত্তা সংলাপ: দুই দিনের বৈঠকে ‘ইতিবাচক বার্তা’ ◈ পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষেত্র নিরাপত্তায় বৈপ্লবিক অগ্রগতি—আইএলওর ১০টি মৌলিক দলিল অনুমোদন করলো বাংলাদেশ ◈ প্রবাসী ভোটারদের রেকর্ড সাড়া—পোস্টাল ভোট অ্যাপে কোরিয়া-জাপান এগিয়ে ◈ সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে সম্মতি খালেদা জিয়ার ◈ আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস ◈ চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে চুক্তির সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ ◈ শ্রীলঙ্কাকে ৬৭ রা‌নে হারা‌লো  জিম্বাবুয়ে 

প্রকাশিত : ১৪ নভেম্বর, ২০২৫, ০৮:৩৯ রাত
আপডেট : ২১ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সোনা বা টাকা নয়, আগামী দশ বছরে যে সম্পদ হয়ে উঠবে সবচেয়ে মূল্যবান

বিশ্ব অর্থনীতির দিগন্তে নীরবে এক বিশাল পরিবর্তন এগিয়ে আসছে। যেখানে যুগের পর যুগ ধরে মানুষের সম্পদের প্রতীক ছিল টাকা, সোনা বা জমি, সেখানে আগামী দশকে সেই ধারণা এক ঝটকায় উল্টে দিতে পারে প্রযুক্তির বিস্ফোরণ। অর্থনীতি ও প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বের সবচেয়ে দামী সম্পদের তালিকায় যে বস্তুটি দ্রুত এগিয়ে আসছে, তার মূল্য বুঝতে পারলে অনেকেই চমকে উঠবেন।

এই ভবিষ্যদ্বাণীর কেন্দ্রে রয়েছেন ভারতের জনপ্রিয় ব্রোকারেজ প্ল্যাটফর্ম জেরোধা’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা নিখিল কামাত। তাঁর মতে, আগামী এক দশকে মানুষের প্রকৃত সম্পদ হবে না সোনা বা অর্থ। বরং যেটিকে আমরা আজও শুধু ‘ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি’ ভাবি, সেটিই হয়ে উঠবে ভবিষ্যতের আসল মুদ্রা। আর সেই সম্পদ হলো বিদ্যুৎ।

এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে কামাত স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডেটা সেন্টার এবং প্রযুক্তিনির্ভর দৈনন্দিন জীবনের কারণে পৃথিবীতে বিদ্যুতের চাহিদা এমনভাবে বাড়ছে যে ভবিষ্যতে বিদ্যুতই হবে নতুন কারেন্সি।”

AI যুগে বিদ্যুৎই হয়ে উঠছে নতুন ‘তেল’

এটি কোনও কল্পনার গল্প নয়, বরং কঠিন পরিসংখ্যান ও বাস্তবতার উপর দাঁড়ানো সতর্কবার্তা। অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই পৃথিবীজুড়ে বিস্ফোরক হারে বাড়ছে AI ব্যবহারের চাপ, ক্লাউড সেবা ও ডেটা স্টোরেজের ওপর নির্ভরতা। আমাদের প্রতিদিনের একটি সাধারণ গুগল সার্চ, একটি ইউটিউব ভিডিও দেখা কিংবা নেটফ্লিক্সে সিরিজ স্ট্রিমিং—সবকিছুর পেছনে কাজ করে শক্তিশালী ডেটা সেন্টার।

কিন্তু অবাক করার মতো সত্য হলো, একটি আধুনিক ডেটা সেন্টার বছরে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, তা প্রায় চার লাখ বৈদ্যুতিক গাড়ি চালানোর সমান। কম্পিউটিং ও কুলিং–এই চলে তাদের মোট ব্যয়ের প্রায় ৬৫ শতাংশ।

বিশ্বে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ডেটা সেন্টার রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, মোট ৩ হাজার ৬৮০টি। এরপর জার্মানিতে ৪২৪টি এবং যুক্তরাজ্যে ৪১৮টি। গবেষণা বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের মোট বিদ্যুৎ ব্যবহারের প্রায় ১০ শতাংশই ব্যয় হবে শুধু ডেটা সেন্টারের প্রয়োজনে। এ প্রবণতা যদি বাড়তে থাকে, তাহলে ভবিষ্যতের ‘তেল’ হয়ে উঠবে বিদ্যুৎই।

ক্ষমতার নতুন কেন্দ্র: শক্তি উৎপাদনে স্বনির্ভর দেশগুলো

অর্থনীতিবিদদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, যে সব দেশ শক্তি উৎপাদনে স্বনির্ভর, আগামী দশকে তারাই পাবে বৈশ্বিক নেতৃত্ব। কারণ বিদ্যুৎই তখন নির্ধারণ করবে শিল্পোন্নয়ন, প্রযুক্তি সমৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক শক্তির প্রকৃত মাপকাঠি।

এই বাস্তবতা বিনিয়োগকারী, শিল্পোদ্যোক্তা ও নীতিনির্ধারকদের নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে। সবচেয়ে বড় প্রশ্নটি এখন সামনে দাঁড়িয়ে আছে—পরবর্তী দশকে কার হাতে থাকবে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ? কার দেশের গ্রিড হবে বিশ্বের শক্তিশালী ব্যাংক?

সম্ভবত খুব বেশি সময় নেই, যখন ভবিষ্যতের ধনভাণ্ডার খুঁজতে ব্যাংকে নয়, বরং বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও পাওয়ার গ্রিডের দিকেই তাকিয়ে থাকবে গোটা বিশ্ব।

সূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়