শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেবে না ◈ একনেকে ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন ◈ বিশেষজ্ঞরা চার পদ্ধতিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন: আলী রীয়াজ ◈ শেখ হাসিনার আরও দুটি লকার জব্দ করেছেন কর গোয়েন্দারা ◈ যে কারণে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ শিক্ষক ও ২০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ করলেন ◈ মানুষকে কামড়ালে ‘যাবজ্জীবন কারাদণ্ড’ হবে কুকুরের! ◈ ডাকসু নির্বাচনে গোলাম রাব্বানীর প্রার্থিতা অবৈধ: ছয় বছর পর জিএস হতে পারেন রাশেদ খান! ◈ স্বচ্ছতা আনতে সব প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া অনলাইনে করা হবে, আগামী সপ্তাহেই গেজেট: পরিকল্পনা উপদেষ্টা ◈ মুসলিম দেশগুলো কি ন্যাটোর আদলে যৌথ বাহিনী গঠন করছে? ◈ ম‌্যাচ হারায় বেনফিকার কোচ বরখাস্ত, নতুন দা‌য়িত্ব নি‌তে যা‌চ্ছেন হো‌সে মরিনহো 

প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৪:০৫ দুপুর
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডাকসু নির্বাচনে গোলাম রাব্বানীর প্রার্থিতা অবৈধ: ছয় বছর পর জিএস হতে পারেন রাশেদ খান!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯ সালের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর প্রার্থিতা অবৈধ ছিল বলে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

আজ বুধবার গোলাম রাব্বানীর জিএস নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টিকে অবৈধ ঘোষণার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। সিন্ডিকেটে তাকে অবৈধ ঘোষণা করা হলে নির্বাচনের ছয় বছর পর জিএস হতে পারেন রাশেদ খান।

জানা গেছে, এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তি যথাযথ প্রক্রিয়ায় না হওয়ায় তার ছাত্রত্ব সাময়িকভাবে বাতিল করেছে সিন্ডিকেট। একই সঙ্গে বৈধ ছাত্রত্ব না থাকায় তার প্রার্থিতাও অগ্রহণযোগ্য ধরা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোলাম রাব্বানীর প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষিত হলে ওই নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানকে বিজয়ী ঘোষণা করা যেতে পারে।

এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় রাশেদ খান বলেন, ‘গোলাম রাব্বানী শিক্ষার্থীদের ভোটে জিএস নির্বাচিত হয়নি। শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগকে পছন্দ করতো না। সেই নির্বাচনে আমাদের প্যানেল ১১টি পদে জয়ী হলেও মাত্র দুই পদে আমাদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। দীর্ঘ সময় পরে হলেও আমি ন্যায়বিচার পেতে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই, তারা গুরুত্বের সঙ্গে আমার অভিযোগ বিবেচনা করেছে।’

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯ সালের নির্বাচনে ভোট কারচুপি, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা, কেন্দ্র দখল, কৃত্রিম লাইন তৈরি, অবৈধভাবে ভর্তি হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ, ব্যালট পেপারে জালিয়াতি ও ব্যালট বাক্সে কারচুপির মতো অনিয়ম হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান। তবে এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে অধিকতর তদন্ত প্রয়োজন।

২০১৯ সালের ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে জয়ী হন নুরুল হক নুর। তিনি ১১ হাজার ৬২ ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, যিনি পেয়েছিলেন ৯ হাজার ১২৯ ভোট।

অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম রাব্বানীকে ১০ হাজার ৪৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রাশেদ খান পান ৬ হাজার ৬৩ ভোট। সিন্ডিকেটে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলে নির্বাচনের ছয় বছর পর ডাকসুর জিএস হতে পারেন রাশেদ খান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়