শিরোনাম
◈ দেশে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু: ট্রাভেল পাসের আবেদন তারেক রহমানের ◈ হাসিনার অনুসারীদের জামিন বিতর্কে আইন উপদেষ্টার উদ্বেগ প্রকাশ ◈ প্রার্থীদের অস্ত্রের ঝুঁকি, নিরপেক্ষ প্রশাসন নিয়ে চ্যালেঞ্জ ইসির ◈ কূটনীতির রীতিনীতি কি উপেক্ষা করছেন প্রণয় ভার্মা ◈ ওসমান হাদির অস্ত্রোপচার হবে সিঙ্গাপুরে, অনুমতি দিয়েছে পরিবার ◈ দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করলো সরকার ◈ দুর্বল প্রতিপ‌ক্ষের বিরু‌দ্ধে  লড়াই ক‌রে জিত‌লো ‌রিয়াল মা‌দ্রিদ ◈ মেয়েকে নিয়ে ২৫ তারিখ সকাল ১১টায় ঢাকায় নামবেন তারেক রহমান ◈ নির্বাচন নিয়ে ভারতের 'নসিহতে' বাংলাদেশের তীব্র প্রতিক্রিয়া কেন? ◈ শেষ স্ট্যাটাসে ওসমান হাদিকে নিয়ে যা লিখেছিলেন এনসিপির নেত্রী রুমী

প্রকাশিত : ৩০ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:৫৮ দুপুর
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিশ্ববাজারে পাম অয়েলের দামে পতন, পাইকারিতে কমলেও খুচরায় কমছে না

বিশ্ববাজারে সম্প্রতি পাম অয়েলের দাম কমে এসেছে। এছাড়া শীতকালে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলটির চাহিদাও কমে যায়। এসবের প্রভাবে পাইকারিতে পাম অয়েলের দরপতন হয়েছে। তবে খুচরা বাজারে এর কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সরকারি পর্যায়ে আমদানীকৃত পাম অয়েলের দামের সমন্বয় না হওয়ায় বিশ্ববাজার ও দেশের পাইকারি বাজারে কমলেও খুচরায় এখনো কমছে না পাম অয়েলের দাম।

বাজারসংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এক মাস আগেও পাইকারিতে প্রতি মণ (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) পাম অয়েলের দাম ছিল ৬ হাজার ১০০ টাকা। বর্তমানে তা কমে ৫ হাজার ৭৭০ টাকায় নেমে এসেছে।

তারা আরো জানান, সরকারিভাবে খুচরায় প্রতি লিটার পাম অয়েলের দাম ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা আছে। এ হিসাবে প্রতি মণের দাম হয় ৬ হাজার টাকা। মূল্য সংশোধন না হওয়ায় বর্তমানে পাইকারি বাজারের দরপতনের প্রভাব খুচরায় পড়ছে না।

সূত্রের দেয়া তথ্যানুযায়ী গত ১২ আগস্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করে ১৯ টাকা কমিয়ে প্রতি লিটার খোলা পাম অয়েলের দাম ১৫০ টাকা নির্ধারণ করে। প্রায় সাড়ে তিন মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও দাম পুনর্নির্ধারণ না করায় খুচরা ও পাইকারিতে নিত্যপণ্যটির দামের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে।

বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. গোলাম মাওলা বণিক বার্তাকে বলেন, ‘দেশে ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণের বিষয়টি এখন অকার্যকর নিয়মে পরিণত হয়েছে। প্রতি মাসে বাজার পর্যালোচনা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দাম পুনর্নির্ধারণ করার কথা। কিন্তু বৈশ্বিক দরবৃদ্ধির পর আমদানিকারকরা দাম বাড়াতে চাইলে সরকার কালক্ষেপণ করে। ফলে দাম যা-ই নির্ধারণ হোক না কেন, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা পাম অয়েল, সুপার পাম অয়েল কিংবা সয়াবিন তাদের আমদানি খরচের সঙ্গে সমন্বয় করেই বিক্রি করে।’

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক বাজারে গত আগস্টে অপরিশোধিত পাম অয়েলের দাম ছিল টনপ্রতি ১ হাজার ২৬ ডলার। সেপ্টেম্বরে তা ছিল ১ হাজার ৩৭ ডলার এবং অক্টোবরজুড়ে পাম অয়েলের টনপ্রতি গড় মূল্য ছিল ১ হাজার ৪৫ ডলার। নভেম্বরে ভোজ্যতেলটির উল্লেখযোগ্য দরপতন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ১৩ নভেম্বর প্রতি টন পাম অয়েলের আমদানি মূল্য ছিল ১ হাজার ৬ ডলার। ২৮ নভেম্বর তা কমে টনে ৯৮০ ডলারে নেমে আসে।

দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের বাজারে এ সময় পাম অয়েলের চাহিদা কম থাকে। তাই দামও নিম্নমুখী হয়। সরকারিভাবে নির্ধারিত দাম বেশি থাকায় পাইকারিতে কমলেও খুচরা বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়ছে না।

খাতুনগঞ্জের ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী মো. নাজিম উদ্দিন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বিশ্ববাজারে পাম অয়েলের দাম কমার প্রভাবে দেশে পাইকারিতে দরপতন হয়েছে। এমনকি কিছুদিন আগে তা কয়েক বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে যায়। আসন্ন রমজানে ভোজ্যতেলের আমদানি ও সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাজারে পাইকারি ও খুচরা দামের সমন্বয় হওয়া প্রয়োজন।’ সূত্র: বণিক বার্তা 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়