শিরোনাম
◈ বিসিবি থেকে অপসারণের পর দেশ ছেড়েছেন ফারুক আহমেদ! ◈ আইসিসিতে ফারুকের অভিযোগ, সরকারি হস্তক্ষেপে অপসারণ করা হ‌চ্ছে ◈ জাপা‌নে নি‌ক্কেই ফোরাম অনুষ্ঠা‌নে প্রধান উপ‌দেষ্টা - একটি নির্দিষ্ট দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইছে ◈ একটি লোক নির্বাচন চান না, সে হলেন ড. ইউনূস: মির্জা আব্বাস (ভিডিও) ◈ ওমানে বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য বড় সুখবর ◈ বাংলাদেশকে ১ দশমিক ০৬৩ বিলিয়ন ডলায় বাজেট সহায়তা দিবে জাপান ◈ চীন ও আফগানিস্তা‌ন ক্রিকেটের উন্নয়নে আ‌ছে বুলবুলের অবদান ◈ জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ◈ বর্তমান সরকারের হাতে দেশ ও মানুষ নিরাপদ নয়: জাতীয় পার্টি ◈ আলিপুরদুয়ার থেকে মোদির ‘মিশন বেঙ্গল’ শুরু: বাংলাদেশের প্রতি কৌশলগত বার্তা? (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৯ মে, ২০২৫, ০৬:১৬ বিকাল
আপডেট : ৩০ মে, ২০২৫, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সংস্থাটি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেনের ১৭ হাজার ৩৪৫টি তথ্য পেয়েছে

সন্দেহজনক লেনদেনে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নাম? যা বললেন বিএফআইইউ প্রধান (ভিডিও)

সন্দেহজনক লেনেদেনে নাম এলে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) যে কারও হিসাব এমনকি ‘রাষ্ট্রপ্রধানেরও’ তাদের প্রতিবেদন থেকে বাদ দেয় না বলে দাবি করেছেন সংস্থাটির প্রধান।

বিএফআইইউর সন্দেহজনক লেনদেনের তালিকায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ‘হিসাব অন্তর্ভুক্ত’ থাকা বিষয়ক এক প্রশ্নে একথা বলেন আর্থিক খাতের গোয়েন্দা হিসেবে পরিচিত সংস্থাটির প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম।

বাংলাদেশ ব্যাংকে মঙ্গলবার সংস্থাটির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রতিবেদন প্রকাশের সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বক্তব্য রাখেন।

তখন একজন প্রতিবেদক প্রশ্ন করেন, “আপনারা প্রায় ১৭ হাজার ৩৪৫টি সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করেছেন। এখানে আর্থিক অঙ্কটা কত হতে পারে? ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রতিবেদন দিয়েছেন। আমরা তখন শুনেছি অর্থপাচারের সঙ্গে বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা জড়িত। ওই সময়কার সরকার এগুলো বারবার বলত। তাই এই সন্দেহজনক লেনদেনের মধ্যে আমাদের প্রধান উপদেষ্টার হিসাবটাও অন্তর্ভুক্ত কি না?”

সংবাদ সম্মেলনে গভর্নরের পাশে বসে থাকা বিএফআইইউ প্রধান শাহীনুল এ প্রশ্নের জবাব দেন।

তিনি বলেন, “আমরা এই প্রতিবেদন গত বছরের (২০২৩-২৪) করেছি। তখন তো তিনি (মুহাম্মদ ইউনূস) প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন না। এটা যদি আমাদের নিয়মের মধ্যে থাকে যে রাষ্ট্রপ্রধানকে নিয়েও আমরা করব, এটা তো যাবে না- এ কথা তো নাই কোথাও।

“এটা তো আছেই যে কাউকেই অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিবেদন করব। প্রধান উপদেষ্টার কথাটা আমি মনে করি এখানে আপাতত না বললেই চলে।”

এরপর বিএফআইইউ প্রধান এ বিষয়ে আর কিছু বলেননি। তিনি ওই প্রতিবেদকের শনাক্ত হওয়া সন্দেহজনক লেনদেনের মোট আর্থিক অঙ্কও বলেননি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এক অর্থবছরের ব্যবধানে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ২২ দশমিক ৯৬ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে ১৭ হাজার ৩৪৫টি। এর আগের অর্থবছরে হয়েছিল ১৪ হাজার ১০৬টি।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের সন্দেহজনজক লেনদেনগুলোর মধ্যে সংস্থাটি ১১৪টি আর্থিক গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিভিন্ন তদন্ত সংস্থারকাছে পাঠিয়েছে। এরমধ্যে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির কাছে ৬৮টি, দুদকের কাছে ২৫টি এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে পাঠিয়েছে ১২টি।

এছাড়া বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সরকারি অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে ১ হাজার ২২০টি তথ্য বিনিময় করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেশ থেকে ১৮ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। তবে এসব অর্থ ফেরানো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। সূত্র: বিডিনিউজ২৪, চ্যানেল২৪

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়