শিরোনাম
◈ জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ ◈ বিল পরিশোধ, দীর্ঘদিন পর দায় মুক্ত পেট্রোবাংলা! ◈ নসরুল হামিদের ২০০ কোটি টাকা মূল্যের জমি জব্দের আদেশ ◈ ‘২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’- বক্তব্যটি হাসিনার: প্রমাণ পেয়েছে ট্রাইব্যুনাল ◈ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে হামলা গ্রেপ্তার ৫ ◈ জামিন স্থগিত সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের ◈ চট্টগ্রা‌মে মিরাজ তাণ্ডব, জিম্বাবু‌য়ের বিরু‌দ্ধে দ্বিতীয় টে‌স্টে ইনিংস ব্যবধানে জিতলো বাংলাদেশ ◈ উত্তরায় চাঞ্চল্যকর অপহরণের ঘটনায় প্রাইভেট কারসহ দুই অপহরণকারী গ্রেফতার ◈ সম্ভাব্য তারিখ জানা গেল ঈদুল আজহার ◈ নির্বাচনী কোন ধরনের ঐক্য বা জোটে আগ্রহী নয় এনসিপি: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:০৬ রাত
আপডেট : ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রিজার্ভ বেড়ে পৌনে ২৭ বিলিয়ন ডলার

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনরুদ্ধারে ধীরে ধীরে ফিরছে স্থিতিশীলতা। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর রেমিট্যান্স প্রবাহের ধারা ইতিবাচক থাকায় এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় পৌনে ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

রবিবার (২০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ২১ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার।

তবে বাস্তবে যে রিজার্ভ ব্যবহারযোগ্য, সেই ‘নিট রিজার্ভ’ এর হিসাব আরও ভিন্ন। আইএমএফকে জানানো হিসাবে— এসডিআর খাত, ব্যাংকগুলোর ফরেক্স ক্লিয়ারিং ব্যালেন্স এবং আকুর পাওনা বাদ দিয়ে বাংলাদেশের প্রকৃত ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, রিজার্ভে এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পেছনে মূল অবদান রাখছে প্রবাসী আয়। চলতি এপ্রিলের প্রথম ১২ দিনেই রেমিট্যান্স এসেছে ১০৫ কোটি ২৪ লাখ ডলার। শুধু গত মার্চ মাসেই রেমিট্যান্সের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ— এ মাসজুড়ে এসেছে ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস থেকে ধারাবাহিকভাবে রেমিট্যান্স প্রবাহ দুই বিলিয়ন ডলারের ওপরে রয়েছে। জুলাইয়ে এসেছে ১.৯১ বিলিয়ন, আগস্টে ২.২২ বিলিয়ন, সেপ্টেম্বরে ২.৪০ বিলিয়ন, অক্টোবরে ২.৩৯ বিলিয়ন, নভেম্বরে ২.২০ বিলিয়ন, ডিসেম্বরে ২.৬৪ বিলিয়ন, জানুয়ারিতে ২.১৯ বিলিয়ন এবং ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২.৫৩ বিলিয়ন ডলার। ধারাবাহিকভাবে টানা সাত মাস দুই বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স প্রবাহ অব্যাহত থাকার ফলেই রিজার্ভে এসেছে গতি।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, একটি দেশের রিজার্ভ অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় নির্বাহের জন্য পর্যাপ্ত হওয়া প্রয়োজন। বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে বাংলাদেশের তিন মাসের বেশি সময়ের আমদানি দায় মেটানো সম্ভব, যা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ইতিবাচক বার্তা দেয়।

অর্থনীতিবিদদের মতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ এবং বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্যাংক ও প্রবাসী প্রণোদনার কার্যকর উদ্যোগ রিজার্ভে এই গতি ফেরাতে সহায়ক হয়েছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়