শিরোনাম
◈ মানবিক করিডর আসলে কী, বিশ্বের কোথায় কতটা কার্যকর? ◈ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ কি আসন্ন, হুঙ্কার-পাল্টা হুঙ্কার ◈ ব্রাজিলের কোচ হওয়ার স্বপ্ন সফল হ‌লো না আনচেলত্তির, রিয়াল মা‌দ্রিদেই থাক‌তে হ‌চ্ছে ◈ বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহী চীন ◈ উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ, ব্যানার কেড়ে নেয়ায় ওসির গায়ে হাত তুলতে তেড়ে আসেন বিক্ষোভকারীরা (ভিডিও) ◈ আজ মহান মে দিবস ◈  নতুন আইন হচ্ছে  র‍্যাবকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার ঠেকাতে ◈ চলতি মাসে ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৬০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার ◈ মন্ত্রিপরিষদকে নির্বাচন কমিশনের ১২ প্রস্তাব ◈ বগুড়ায় সারজিসের উপস্থিতিতে এনসিপি-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দফায় দফায় সংঘর্ষ

প্রকাশিত : ০৯ জুলাই, ২০২৪, ০৭:৫০ বিকাল
আপডেট : ২৯ মার্চ, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : এল আর বাদল

ঋণ থেকে মুক্ত হওয়ার পথ সহজ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

মনজুর এ আজিজ: [২] যেকোন ব্যবসায়ী গ্রাহক ব্যবসা ও শিল্পের ঋণ পরিশোধ করে ব্যাংক থেকে প্রস্থান করতে পারবেন। এই সুবিধার জন্য আবেদন করতে হলে ঋণস্থিতির ন্যূনতম ১০ শতাংশ অর্থ আগে জমা দিতে হবে। এমন শর্ত জুড়ে দিয়ে ঋণ থেকে প্রস্থান-সংক্রান্ত নীতিমালা (এক্সিট পলিসি) প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার এই নীতিমালার আলোকে ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব নীতিমালা প্রণয়ন করে তা কার্যকর করতে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

[৩] বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, অনেকেই ব্যবসা থেকে বেরিয়ে যেতে চান। তবে কোন নীতিমালা না থাকায় তারা ব্যাংকঋণ শোধ করতে সমস্যায় পড়েন। অনেক সময় ব্যাংকগুলো একেবারে পুরো অর্থ শোধ দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। এতে অনেকেই ঋণ থেকে বেরিয়ে যেতে সমস্যায় পড়েন। তাই নতুন নীতিমালার ফলে ব্যাংকগুলো সুবিধা পাবে এবং ব্যবসায়ীরাও সুবিধা মতো ঋণ শোধ করে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে পারবেন।

[৪] কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালায় বলা হয়েছে, এক্সিট সুবিধা নেওয়ার ক্ষেত্রে পুরো ঋণ শোধ না হওয়া পর্যন্ত ঋণের মানের কোন পরিবর্তন হবে না এবং এই সময়ে গ্রাহক নতুন ঋণও নিতে পারবেন না। এই সুবিধা নিলে সর্বোচ্চ তিন বছরের মধ্যে পুরো ঋণ শোধ করতে হবে। এসব গ্রাহক ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবেও চিহ্নিত হবেন না।

[৫] কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ভবিষ্যতে আদায়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ এমন শ্রেণিকৃত ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে অথবা নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে প্রকল্প বা ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলে অথবা ঋণগ্রহীতা কর্তৃক প্রকল্প বা ব্যবসা বন্ধ করার ক্ষেত্রে নিয়মিত ঋণের প্রস্থান সুবিধা দেওয়া যাবে। বিদ্যমান ঋণস্থিতির ন্যূনতম ১০ শতাংশ এককালীন পরিশোধপূর্বক এই সুবিধার জন্য আবেদন করতে হবে। ঋণগ্রহীতার আবেদন প্রাপ্তির ৬০ দিনের মধ্যে ব্যাংক কর্তৃক তা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

[৬] ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বা নির্বাহী কমিটির দ্বারা এই সুবিধা অনুমোদন হতে হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। তবে মূল ঋণ সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত এক্সিট সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ওপর অর্পণ করা যাবে।

[৭] নীতিমালায় আরও বলা হয়, এ সুবিধার আওতায় সুদ মওকুফ করা হলে মওকুফযোগ্য সুদ পৃথক ব্লকড হিসাবে স্থানান্তর করতে হবে। সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ বা সমন্বয়ের পর ব্লকড হিসাবে রক্ষিত সুদ চূড়ান্ত মওকুফ হিসেবে গণ্য হবে। এক্সিট সুবিধার আওতায় এক বা একাধিক কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করা যাবে। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ সাধারণভাবে ২ বছরের বেশি হবে না। 

[৮] প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এক্সিট সুবিধা গ্রহণকারী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির ঋণের দায় সম্পূর্ণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত এক্সিট-পূর্ববর্তী ঋণের শ্রেণি মান বহাল থাকবে। খেলাপি ঋণগ্রহীতারা যথানিয়মে খেলাপি ঋণগ্রহীতা হিসেবে চিহ্নিত হবেন এবং ওই ঋণ হিসাবের তথ্য পূর্ববর্তী শ্রেণি মানের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে রিপোর্ট করতে হবে। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান

এমএএ/কে/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়