মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, নবোদয়, চন্দ্রিমা ও নবীনগর সহ বড় একটি অংশে 'রক্তচোষা' জনি নামে এক সন্ত্রাসী ও তার অনুসারীদের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মানুষকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করা এবং সেই রক্ত পান করাকে জনি তার নেশা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ড সিনেমার গল্পের মতো মনে হলেও বাস্তবে এটি ঘটছে বলে জানিয়েছে একাত্তর টিভি।
সম্প্রতি একাধিক ঘটনায় জনির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের চিত্র উঠে এসেছে। গত ৪ অক্টোবর রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা উদ্যানের পানির ট্যাংকি এলাকায় হাবিবুল্লাহ নামের এক চায়ের দোকানদারকে বিল চাওয়াকে কেন্দ্র করে জনি ও তার অনুসারীরা কাচের বোতল দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করে। হাবিবুল্লাহকে বাঁচাতে গিয়ে ব্যবসায়ী আসিফও জনির অনুসারীদের হাতে কোপের শিকার হন। এই ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় জামশেদ আলী, কোভিদ হোসেন ও ইউসুফ সহ ছয় জনকে আসামি করে মামলা করেছেন হাবিবুল্লাহ, যারা প্রত্যেকেই জনির অনুসারী বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথ্য দিয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জনি মানুষকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে সেই রক্ত পান করেন বিধায় তার নাম হয়েছে 'রক্তচোষা জনি'। জনির গ্রুপের ২৩ জনের নাম ও ছবি একাত্তরের হাতে এসেছে। বর্তমানে জনি আড়ালে থাকলেও তার অনুসারীদের দিয়ে ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার মতো অপরাধ করাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জনির যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হলেও ভয়ে কেউ ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে নারাজ।
এছাড়াও, সম্প্রতি ঢাকা উদ্যানের পানির ট্যাংকি এলাকায় এক নারীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছেন জনি নিজেই। এর কিছুদিন আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তাকেও মুঠোফোনে হুমকি দেন জনি।
পুলিশ জানিয়েছে, অপরাধী যেই হোক না কেন তাকে ছাড় দেওয়ার কোনো উপায় নেই। জনিসহ তার অনুসারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে এবং এই অভিযান চলমান থাকবে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জনি ২০২৩ ও ২০২৪ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, কিন্তু জামিনে বের হয়ে তিনি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছেন। তার বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি মামলা রয়েছে। সূত্র: চ্যানেল৭১
এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ভিডিওটি দেখুন: