রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস-এর একটি বাসায় ডাকাতি করে পালানোর সময় চারজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে নিরাপত্তা কর্মীরা। এসময় পালিয়ে গেছে আরও চার ডাকাত। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ডাকাতির মালামাল জব্দ করেছে পল্লবি থানা পুলিশ।
ব্যবসায়ী স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে এক ছেলে, এক মেয়েকে নিয়েই বসবাস করতেন ভুক্তভোগী নারী। জানান, ৩ মাস ধরে বসবাস করছেন ডিওএইচএসের একটি ভবনে। অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে ধানমন্ডিতে একটি হাসপাতালে থাকার সময় রবিবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় জোর করে তার বাসায় ঢুকে কয়েক ব্যক্তি। সে সময় বাসায় ছিলেন তার মেয়ে এবং গৃহকর্মী।
তিনি জানান, পরে এসে তিনি জানতে পারেন লুটপাট শেষে পালানোর সময় ডিওএইচএসের গেটে ডিওএইচএস এর নিরাপত্তা রক্ষীদের হাতে ধরা পড়েন চার ডাকাত।
মিরপুর জোনের এডিসি জানান, কিছু স্বর্ণালংকার, ল্যাপটপ, মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। ডাকাত চক্রের বাকিদের ধরতে অভিযান চলবে বলে জানায় পুলিশ।
ঘটনাটি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তথ্যদাতা হারুনুর রশিদ তাদের পিছু নেন এবং এনডিসি চেকপোস্টে গিয়ে গাড়ি থামাতে বাধ্য করেন। জনসাধারণের সহায়তায় ডাকাতদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে কর্পোরাল মুকুল জানান, হারুনের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র থাকার তথ্য পেয়ে তারা অভিযানে যান। তদন্তে আরও জানা গেছে, ইফতেখার ‘জাস্টিস ফর কমরেডস’ সংগঠনের সদস্য এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার হাসান নাসিরের ঘনিষ্ঠ। মুকুল সেনাবাহিনীর বিতাড়িত সদস্যদের গ্রুপ ‘সহযোদ্ধার’ সঙ্গে যুক্ত।
আটকের সময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল, স্বর্ণালংকার, ল্যাপটপ, ঘড়ি, ইয়াবা, পাসপোর্টসহ বিভিন্ন সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ইফতেখারকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে।