শিরোনাম
◈ প্রতিষ্ঠানের ভুলে পরীক্ষাবঞ্চিত দুই শিক্ষার্থী: এক বছরের ক্ষতির দায় নেবে কে? ◈ উত্তরায় কিশোর গ্যাং দমনে যুদ্ধের ঘোষণা ডিসি মহিদুলের ◈ হাতিয়ায় গুজবের তোলপাড়: পুকুরে কুমির নয়, ছিল গুইসাপ! ◈ শাজাহানপুরে বিএনপিকে হুমকি দিয়ে আওয়ামী লীগের পোস্টার, রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়ানোর আশঙ্কা ◈ চুয়ান্ন বছরেও মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ হয়নি: উপদেষ্টা ফারুক ই আজম ◈ টাঙ্গুয়ার হাওরে ৫ পর্যটকের কারাদণ্ড ◈ ইরানের বিজয়ের কথা শুনেই রেজা পাহলভি হাসপাতালে ভর্তির খবর ভুয়া দাবি তাঁর কার্যালয়ের ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের নিয়োগদাতা আমরা না: সারজিস আলম (ভিডিও) ◈ ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের বাড়তি সুবিধা: কার বেতন কত বাড়বে? ◈ দীর্ঘদিন পর রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

প্রকাশিত : ২৬ জুন, ২০২৫, ০৭:২৮ বিকাল
আপডেট : ২৭ জুন, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১১৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ধামাকা শপিংয়ের এমডির ৬২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, তদন্তে অর্থপাচারের প্রমাণ

বাজেয়াপ্ত করা সম্পদের মধ্যে রয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এস. এম. ডি. জসীম উদ্দিন চিশতীর নামে রাজধানীর বনানী মডেল টাউনে অবস্থিত একটি বহুতল ভবন, যার বাজারমূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এ ছাড়া মাইক্রো ট্রেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড-এর নামে গাজীপুরের কাশিমপুর পূর্ব বাগাবাড়ী এলাকায় ৪১ শতাংশ জমি, যার আনুমানিক মূল্য ১২ কোটি টাকা। 

গ্রাহকের প্রায় ১১৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান 'ধামাকা শপিং'-এর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় ৬২ কোটি টাকার সম্পত্তি (ক্রোক) বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার জনাব আল মামুন–এর আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৬ জুন ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ, মহানগর দায়রা জজ আদালত এই সম্পত্তিগুলো ক্রোক করার নির্দেশ দেন।

তদন্তে জানা যায়, ধামাকা শপিং নামের অনলাইন প্ল্যাটফর্মটি যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর এবং সিটি কর্পোরেশন থেকে কোনো বৈধ নিবন্ধন না নিয়েই অবৈধভাবে ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড–এর ছত্রছায়ায় পরিচালিত হচ্ছিল। 

প্রতিষ্ঠানটি স্বল্প মূল্যে পণ্য সরবরাহের প্রলোভন দেখিয়ে, হাজার হাজার গ্রাহক ও বিক্রেতাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। ধামাকা শপিং-এর নিজস্ব কোনো ব্যাংক হিসাব না থাকলেও তারা ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম–এর সাউথইস্ট ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও ডাচ-বাংলা ব্যাংকের হিসাব ব্যবহার করে লেনদেন পরিচালনা করত। 

তদন্তে সাউথইস্ট ব্যাংকের একটি হিসাব বিশ্লেষণে দেখা যায়, সেখানে ধামাকা শপিং–এর ব্যবসা সংক্রান্ত প্রায় ৫৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে; অথচ ২০২১ সালের ২৭ জুন হিসাবটিতে মাত্র ৯৩ হাজার ৭৩১ টাকা স্থিতি ছিল—যা অত্যন্ত অস্বাভাবিক এবং আর্থিক জালিয়াতির প্রমাণ বহন করে বলে জানিয়েছে সিআইডি। 

সিআইডির তদন্তে আরও উঠে এসেছে, ধামাকা শপিং-এর মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে আত্মসাৎকৃত অর্থ প্রতিষ্ঠানের এমডি চিশতীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের একাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। এমনকি মিকো ট্রেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ–এর একাউন্টেও এসব অর্থ অবৈধভাবে হস্তান্তর করা হয়, যা মানি লন্ডারিংয়ের শামিল। 

এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২–এর ৪(২)/৪(৪) ধারায় রাজধানীর বনানী মডেল থানায় ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর একটি মামলা দায়ের করা হয়। আসামিরা বর্তমানে সবাই দেশের বাইরে অবস্থান করছে। তারা আত্মসাতকৃত অর্থের একটি বড় অংশ বিদেশে পাচার করেছে বলে তদন্তে জানা গেছে। 

বিদেশে পাচার হওয়া অর্থের উৎস, গন্তব্য ও ব্যবহার সম্পর্কেও বিস্তারিত অনুসন্ধান করছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ দল, যার নেতৃত্বে রয়েছেন বিশেষ পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ। সূত্র: টিবিএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়