ইমরুল কায়েশ (যশোর): যশোরের শার্শায় মৎজীবিদের তাড়িয়ে সরকারি ১৫ একর জলাশয় জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। এতে উপার্জনের উৎস হারিয়ে অসহায়ের জীবন যাপন করতে হচ্ছে ৩৮ টি পরিবারকে। তবে দখলকারীরা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন,ক্রয় সুত্রে জমির মালিক হয়েছেন তারা। এদিকে ভুমি অফিস বলছে, সরকারের খাস জমি উদ্ধারে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত ঐ জলাশয় দখল মুক্ত করতে ব্যবস্থা নিবেন ।
জানা যায়, শার্শা উপজেলা থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে নিজামপুর ইউনিয়নের গোড়পাড়ায় অবস্থিত বড়বাড়ি লাইকার বিল। ১৫ একর এই জলাশয়টি ১৫ বছর আগেও গোড়পাড়া গ্রামের ৩৮ জন মৎসজীবিরা মাছ চাষ করতেন। তবে ২০০৯ সালে গ্রামের শাহাদতের ছেলে আলিম ও ছাত্তার, মোকছেদের ছেলে মতিয়ার ও নজরুলসহ কয়েক জন প্রভাবশালী মৎস জীবিদের তাড়িয়ে জলাশয় নিজেদের দখলে এনে জাল দলিল করে ভোগ দখল করতে থাকে।
এতে মৎস জীবিরা বেকার হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে সরকার পরিবর্তনে জমি ফিরে পাবার আশায় ভুক্তভোগীরা ইতিমধ্যে ভুমি অফিস ও উপজেলা প্রশাসনে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বর্তমানে জলাশয়টি দখলের পর থেকে অভাব অনটনের মধ্যে দিন কাটছে অনেকের পরিবার। জমি উদ্ধারে সরকারের সহযোগীতা কামনা করেন তারা।
স্থানীয় গ্রামবাসী ফয়সাল আহম্মেদ জানান, অভিযুক্ত ভুমি দস্যুদের মধ্যে আলিমুর দখল নিয়েছেন ১১ বিঘা জলাশয় ও মতিয়ারের দখলে ১৫ বিঘা। বাকি ১৯ বিঘা দখলে রয়েছে অনান্যদের। আমরা এ জলাশয় দখল মুক্ত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন জানিয়েছি।
জলাশয় দখলকারী আলিমুর জানান, দখলের অভিযোগ অস্বিকার করে জানান, ক্রয়েসুত্রে জমির মালিক হয়েছি।
শার্শার রক্ষনপুরের ভুমিরঅফিসের সহকারি নায়েব আবুল খায়ের জানান, জলাশয় ব্যক্তি মালিকানায় যাবার কথা না। সরকারি খাস জমি দখল মুক্ত করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।