মানিকগঞ্জে ছেলে-মেয়ে ও মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে শহরের পশ্চিম বান্দুটিয়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সদর থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহতরা হলেন- মা শিখা আক্তার (২৯), তার ছেলে আলভী (৭) ও মেয়ে সায়মা আক্তার (২)। শিখা আক্তার মালয়েশিয়াপ্রবাসী শাহীন দেওয়ানের স্ত্রী।
স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, আজ সকালে বিদ্যুৎবিলের কাগজ দেওয়ার জন্য বাসার দরজায় নক করা হয়। তবে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে বাড়িমালিককে খবর দেওয়া হয়। ঘটনা শুনে বাড়িমালিকের ভাই জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। এ সময় বিছানায় শিখা আক্তার, আর মেঝেতে আলভী ও সায়মার মরদেহ দেখতে পায়।
শাহীনের মামা আমান আনসারী বলেন, শাহীন এক মাস আগে মালয়েশিয়া যান। শিখা আক্তার ছিলেন শাহীনের দ্বিতীয় স্ত্রী। নিহত দুই সন্তানের মধ্যে আলভী শিখার আগের পক্ষের সন্তান। আর সায়মা শাহীন-শিখা দম্পতির মেয়ে।
শাহীনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন সদর থানার এসআই তরিকুল ইসলাম। তিনি শাহীদের বরাত দিয়ে বলেন, পাঁচ বছর আগে শিখা-শাহীনের বিয়ে হয়। তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। সবশেষ সোমবার দুপুরে শাহীনের সঙ্গে তার স্ত্রীর ফোনে কথা হয়। আজ মঙ্গলবার শিখাকে কল করলেও তা ধরেননি। পরে সকালে প্রতিবেশী আলমগীর বিদ্যুৎবিলের কাগজ দেওয়ার জন্য এলেও কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে বাড়িমালিককে বিষয়টা জানান। ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তিনটি লাশ উদ্ধার করে।
বাড়িমালিক রাহাত সালমান বলেন, গত আগস্টের ১৫ তারিখে বাসাটি ভাড়া নেন শাহীন। এরপর তিনি মালয়েশিয়া চলে যান। স্বামী বিদেশে যাওয়ার পর শিখা তিনদিন বাসায় থেকে বাবার বাড়িতে চলে যান। পাঁচ-সাতদিন আগে শিখা বাসায় আসেন।
জেলা পুলিশ সুপার ইয়াসমিন খাতুন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে শিখা দুই সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যা করার পর নিজেও বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। লাশগুলো উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি একাধিক সংস্থা তদন্ত করছে।