লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূ কুলছুমা আক্তার কল্পনাকে (৩০) শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দপুর গ্রাম থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে নিহতের বাম পায়ে কলম দিয়ে শ্বশুর, দেবর, ননদসহ ৪ জনের নাম লেখা পাওয়া গেছে। সেখানে এই মৃত্যুর এবং ৪টি নাম উল্লেখ করা হলেও স্পষ্টভাবে কিছু বোঝা যাচ্ছে না।
যদিও তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে দাবি করেন নিহতের ভাই আলমগীর হোসেন।
নিহত কল্পনা লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের মনু মিয়ার বাড়ির ওমান প্রবাসী মো. রোমানের স্ত্রী।
নিহতের ভাই আলমগীর হোসেন জানান, ৮ দিন আগে কল্পনার কন্যাসন্তান হয়েছে। এজন্য মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বাড়ি থেকে লোকজন তাকে দেখতে যায়।
এ সময় মিষ্টিসহ বিভিন্ন সামগ্রী নিয়েছে। সেগুলো কম হওয়ায় শ্বশুর-শাশুড়ি কল্পনাকে বিভিন্ন কথা শোনায়। এছাড়া সিজারের টাকা নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রাতেই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে কল্পনার দেবর রাশেদ পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, ১৬ বছর আগে পারিবারিকভাবে কল্পনা ও রোমানের বিয়ে হয়। রোমান ওমান প্রবাসী। এতে কারণ-অকারণে শ্বশুর খোরশেদ আলম ও শাশুড়ি তাকে নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে।
তবে নিহতের শ্বশুর খোরশেদ জানান সিজারের টাকা কম-বেশি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তবে কেউ তাকে মারধর করেনি।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আজিম বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজনও আত্মগোপনে রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। উৎস: কালের কন্ঠ।