শিরোনাম
◈ কর কাঠামোতে বড় পরিবর্তন আসছে, মূল্যস্ফীতির চাপে নুইয়ে পড়বে চাকরিজীবীরা? ◈ ডিসেম্বরের মধ্যে অবশ্যই নির্বাচন হতে হবে: আমির খসরু (ভিডিও) ◈ ফারুক আহমেদকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে যা বললেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী (ভিডিও) ◈ রাজনৈতিক সহিংসতায় পথশিশুর প্রাণহানি ১৬৮, শতাধিক চোখ হারানোর শিকার: গবেষণা প্রতিবেদন ◈ ভারতে নতুন করে করোনার ঢেউ? আক্রান্ত তিন হাজারের কাছাকাছি ◈ প্রবাসীদের টাকায় প্রবাসীদের জন্য হাসপাতাল: আসিফ নজরুল ◈ ট্রাইব্যুনাল থেকে সরাসরি সম্প্রচার হবে শেখ হাসিনার বিচারকাজ ◈ চীনা বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বৃহৎ প্রতিনিধি দল ঢাকায়, বিনিয়োগে নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত ◈ বিএনপিকে ২ জুন আবার যমুনায় আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার ◈ ব্যালন ডি’অরের জন‌্য নি‌জে‌কে যোগ‌্য ভাব‌লেও দেম্বেলের চোখ চ্যাম্পিয়নস লিগে

প্রকাশিত : ৩০ মে, ২০২৫, ০৩:৩০ দুপুর
আপডেট : ৩১ মে, ২০২৫, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মেঘনার জোয়ারে লক্ষ্মীপুরে ২০ গ্রাম প্লাবিত, ফেরি চললেও লঞ্চ বন্ধ

জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : নিম্নচাপের প্রভাবে ২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। তবে এখনো লঞ্চসহ অন্যান্য ছোট নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে দুই পাড়ে আটকা পড়েছে কয়েক শ পণ্যবাহী ট্রাক এবং অসংখ্য যাত্রী। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

মজুচৌধুরীহাট ফেরিঘাটের সহকারী ম্যানেজার মো. আতিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে শুক্রবার সকাল থেকে ফেরি চললেও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি।’

এদিকে ঘাটে আটকে পড়া যাত্রী আবু তাহের, এনামুল ও আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকে এসে ঘাটে আটকে আছি। ভোলায় যেতে পারছি না। লঞ্চ না ছাড়ায় ভোগান্তির শেষ নেই।’ একই কথা বলেন ভোলাগামী যাত্রী কালাম, ফরিদ উদ্দিন ও ইব্রাহিম। তারা জানান, লঞ্চ কখন ছাড়বে, সে বিষয়ে কেউ কিছু জানাতে পারছে না।

এদিকে টানা তিন দিনের বৃষ্টি ও মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ২০টি গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে, দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। হাজারো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বছরের এই সময়ে এমন টানা পানি ওঠানামা এই প্রথম। পুকুরের মাছ, হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। দুই শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে বলে দাবি করেন অনেকে।
 
রামগতি ও কমলনগরের চরকালকিনি, সাহেবের হাট, পাটওয়ারীর হাট, চরফলকন, চরমার্টিন, চরলরেঞ্চ ইউনিয়ন ও রামগতির আলেকজান্ডার, বড়খেরী, চরগাজী ও চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বসতঘর, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় প্রচণ্ড দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রামগতি আবহাওয়া সতর্কীকরণ অফিসের কর্মকর্তা মো. সৌরভ হোসেন।
জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার জানান, পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার মজুত রয়েছে। বন্যার আশঙ্কা না থাকলেও প্রশাসনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়