অপরিপক্ক ফলে সয়লাব বাজার, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ক্রেতা-ভোক্তা
জাহিদ হাসান, মেলান্দহ জামালপুর : সারা দেশের বিভিন্ন বাজারগুলোর ন্যায় গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি অপরিপক্ক ফলে ছেয়ে গেছে মেলান্দহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলো।এসব মৌসমী অপরিপক্ক ফলের মধ্যে রয়েছে আম,লিচু, আনারস, অন্যতম। এছাড়াও এ তালিকায় রয়েছে লটকন,ডালিম, জামরুল,পেয়ারা,পেপে ও কলা।
ফল আমাদের খাদ্য ও পুষ্টির অন্যতম প্রধান উৎস।কিন্তু দেশের এক শ্রেণির অসাধু মধ্যসত্বভোগী অতিমুনাফালোভী ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকরা অধিক লাভের আশায় কৃত্রিমভাবে ফল পাকিয়ে ফলের পুষ্টিগুন বিনষ্ট করে বাজারে বিক্রি করছে।ক্যালসিয়াম কার্বাইডসহ বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে মৌসুমি ফল পাকিয়ে বাজারজাত করছে।এতে ক্রেতাসাধারণ ও চূড়ান্ত ভোক্তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত,প্রতারিত হয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে।
উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আম, লিচু, আনারস, লটকন, পেয়ারা,পেপে ও কলার মত নানা রকম এসব বাহারী মৌসুমি ফলের পসরা সাজিয়ে দোকান বসিয়েছেন ফল ব্যবসায়ীরা। এসব দোকানে উৎসুক ফল প্রেমীদের ফল কিনার দৃশ্য চোখে পড়ার মত।এসব ফল তারা অনায়েসে কিনে নিয়ে তুলে দিচ্ছে পরিবারের সদস্যদের মুখে।
উপজেলার মেলান্দহ বাজারের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আকার ও প্রকারভেদে লিচু বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা আটি, এক আটিতে থাকছে ১০০টি লিচু। আম ৫০ থেকে ১২০ টাকা কেজি,জাম ২০০টাকা কেজি, আনারস বিক্রি হচ্ছে ১২০টাকা জুড়া থেকে ২০০টাকায়,পেয়ারা ৬০টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রেতা জানান ২০০ টাকা দিয়ে চাইনা-৩ জাতের ৫০টি লিচু কিনেছি।এসব লিচুতে কোনো প্রকার রস নাই,স্বাদ তো নাই ই।আমার টাকাটায় নষ্ট।
উমির উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো:আনিছুর রমান বলেন, সাধারণ মানুষ মৌসুমি ফল হিসেবে কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো এসব অপরিপক্ক ফলকে পরিপক্ক মনে করে চড়া দামে কিনে নিজেরা ও তাদের বাচ্চাদের খাওয়াচ্ছে।কিন্তু তারা বুঝতেই পারছে না এসব ফলের সাথে তারা বিষ কিনে খাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এসব অপরিপক্ক ফল বিক্রি ঠেকাতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও ভোক্তা অধিকার আইন প্রয়োগসহ জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম আলমগীর কবির বলেন এ বিষয়ে আমাদের স্যানিটারি ইন্সপেক্টরকে নির্দেশনা দিয়ে দেবো।উনি বাজার গুলো পরিদর্শন করে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা নিবেন।