আবদুল ওহাব শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শাহজাহানপুরে গোহাইল ইসলামিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে প্রবেশ করায় মারপিট, সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এসময় শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের মোটরসাইকেলে আগুন দেয় ও বগুড়া-নাটোর মহাসড়ক অবরোধ করে। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। মঙ্গলবার বেলা ১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজ করে।
জানাগেছে, গোহাইল ইসলামিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন মুকুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ঘাকায় বিষয়টি তদন্তনাধীন রয়েছে। অস্থায়ী অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে শফিকুল ইসলামকে। এমতাবস্থায় মুকুল গোহাইল ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মিন্টু ও তার লোকজনকে নিয়ে কলেজে প্রবেশ করে এবং হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে চান।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বাধা দিলে এলোপাথাড়ি মারপিট শুরু হয় বহিরাগত ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে। ছাত্র ও অভিভাবকরা তাদের ধাওয়া দেয়। এই ঘটনায় কমপক্ষে ৪ জন আহত হয়েছে।
তারা হলেন, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাশেদুল নবী শাহীন, দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রিয়াদ ও অভিভাবক কাজী আব্দুল মতিন। এছাড়া অপর পক্ষের ১ জন আহত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, জুলাই আন্দোলনের পর গোহাইল ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন মকুলের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে শিক্ষা অধিদপ্তর। ফলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশক্রমে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন প্রভাষক শহিদুল ইসলাম।
স্থানীয় অভিভাবক কাজী আব্দুল মতিন বলেন, একজন দুর্রীনিতিবাজ শিক্ষক সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের উপর হামলা করে । সেই হামলার বিচার করতে হবে।
এবিষয়ে অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন মুকুল বলেন বিচারের পর রায় হবে। এখন দায়িত্ব পালনে বাধা কোথায়। আর প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ও শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাইফুর রহমান বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।