শিরোনাম
◈ একের পর এক নিষেধাজ্ঞা, ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক কোন দিকে? নানা প্রশ্ন ◈ স্থলপথে কেন বাংলাদেশি পণ্যে নিষেধাজ্ঞা, জানাল ভারত ◈ খালেদা জিয়ার সঙ্গে কর্নেল অলির সাক্ষাৎ ◈ ভারতে কমেছে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার, বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে-সৌদি আরবে ◈ সাফ শি‌রোপা জেতা হ‌লো না বাংলা‌ে‌দে‌শের, ভার‌তের কা‌ছে টাইব্রেকারে হে‌রে গে‌লো ◈ ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা, দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি: ‘বাংলাদেশ টক্কর দিলে বাঁচবে না’ ◈ যে ‘৩ শর্তে’ সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিচ্যুতদের বিক্ষোভ স্থগিত হয় ◈ আইসিসি’তে জয় শাহ: ক্রিকেটে শক্তির ভারসাম্য নষ্ট করছে ভারত? ◈ সাবেক সেনাসদস্যদের বিক্ষোভ নিয়ে যা জানালেন আইএসপিআর ◈ ‘ইউনিফর্ম পড়ে আসছি, আমি কাপুরুষ না’- চাকরিচ্যুত সেনাদের উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৮ মে, ২০২৫, ০৮:০০ রাত
আপডেট : ১৯ মে, ২০২৫, ০২:৩২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শেরপুরে অতি বর্ষণে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কায়, আগাম প্রস্তুতি

তপু সরকার হারুন, শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরে উজান থেকে নেমে আসা পানি ও অতি বর্ষণে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কায়, আগাম প্রস্তুতি জেলা প্রশাসন সর্তক্ অবস্থান গ্রহন করেছেন। জেলায় অতি বর্ষণের সম্ভাবনা এবং ভারতের মেঘালয়ে লাগাতার বর্ষণের কারণে ওই আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। দুদিন ধরে জেলার নদ-নদীর পানি কিছুটা বাড়লেও সবগুলো নদীর পানি এখন পর্যন্ত বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বন্যার পূর্বাভাসের কারণে আতঙ্কে রয়েছেন নদী এলাকার মানুষজন।

১৮ মে রবিবার সকাল এবং শনিবার রাতে কয়েক দফা মাঝারি বর্ষণের কারণে জেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের বাগেরভিটা এলাকায় সোমেশ্বরী নদীতে নির্মাণাধীন একটি ব্রিজে ময়লা আটকে পানির তোড়ে পাশের সড়ক ও একটি দোকান আংশিক ভেঙে কিছুটা পানি প্রবেশ করলেও তাতে কোন এলাকা বা বাড়িঘর প্লাবিত হয়নি।

ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, বাগেরভিটা এলাকায় সোমেশ্বরী নদীতে নির্মাণাধীন ব্রিজের নিচে কাঠের সেন্টারিং না খোলায় পাহাড়ি ঢলের পানি সেখানে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ব্রিজের পাশে একটি দোকানের একাংশ ভেঙে যায় এবং কিছু পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। তবে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পাঠানো সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, আগামী ২০ মে পর্যন্ত ময়মনসিংহ, সিলেট ও রংপুর বিভাগের নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে। এতে জনজীবনের পাশাপাশি কৃষি খাতে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে বন্যা মোকাবিলায় শেরপুর জেলা কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের দ্রুত আধা-পাকা ধান কেটে নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়েছে। 

বিশেষ করে নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলায় যেসব ধান ৮০ শতাংশের বেশি পেকে গেছে, তা দ্রুত কাটার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে জেলার ৮০ শতাংশ ধান কর্তন সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ধানগুলোও দ্রুত কেটে নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, বন্যার পূর্বাভাসের প্রেক্ষিতে সম্ভাব্য পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা প্রতিটি উপজেলায় মাইকিংয়ের মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরি করছি। পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হচ্ছে এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোও বন্যা মোকাবিলায় সক্রিয়ভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়