শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৫ মে, ২০২৫, ০২:৪৮ দুপুর
আপডেট : ১৫ মে, ২০২৫, ১১:২০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাড়ে তিন বছর পর আদালতের রায়ে বিজয়ী ঘোষণা, মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় এলাকাজুড়ে উৎসব জামায়াত নেতার

সাড়ে তিন বছর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আদালতের রায়ে চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসতে যাচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, নোয়াখালী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সাইয়েদ আহমদ। 

বুধবার (১৪ মে) বিকেলে শতাধিক মোটরসাইকেলের বিশাল শোভাযাত্রা নিয়ে তিনি নিজ এলাকায় ফিরে আসেন। এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। দলীয় নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো সোনাইমুড়ী উপজেলা ও বারগাঁও ইউনিয়নের প্রতিটি সড়কপথ। শোভাযাত্রা শেষে স্থানীয়দের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেন মাওলানা সাইয়েদ আহমদ।

জানা যায়, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি মাওলানা সাইয়েদ আহমদ সোনাইমুড়ী উপজেলার বারগাঁও ইউনিয়নে চশমা প্রতীকে নির্বাচন করে কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে জয় লাভ করেন। কিন্তু উপজেলাতে ফলাফল সিট ঘষা-মাজা করে তার প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সামছুল আলমকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর  বুধবার (১৪ মে) দুপুরে নোয়াখালী জেলা দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ দেওয়ান মনিরুজ্জামান মাওলানা সাইয়েদ আহমদকে ৪৬৬ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, মাওলানা সাইয়েদ আহমদ বুধবার (১৫ মে) বিকেলে সোনাইমুড়ী এলাকায় প্রবেশ করতেই শতাধিক মোটরসাইকেলের শোভাযাত্রায় তাকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। শোভাযাত্রা প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে পুরো ইউনিয়ন ঘুরে বেড়ায়। পথিমধ্যে তিনি সাধারণ মানুষ ও সমর্থকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এসময় অনেক সমর্থককে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়তে দেখা যায়। তার এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে

স্থানীয় জামায়াত নেতা মাওলানা রহিমুল্লাহ বলেন, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। সেদিন আমাদের বিজয় কেড়ে নিয়ে নৌকার প্রার্থীকে দেওয়া হয়। আমাদের তখন আল্লাহর দরবারে বলা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। আজ আমরা মহা আনন্দিত এবং খুশি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়ার ভাষা আমাদের নাই। যারা অন্যায় ভবে বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে তারা আজ এলাকা ছাড়া। 

সাইয়েদ আহমদের ছেলে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম ফরহাদ বলেন, নৌকার প্রার্থীর ভরাডুবি ঠেকাতে জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখিয়ে, পেশিশক্তির মাধ্যমে আমা0র বাবাকে মাত্র ১১ ভোটে হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আজ আদালত আমার বাবাকে বৈধ চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। আমি আশা করি, খুব শিগগিরই গেজেট প্রকাশিত হবে। আমি নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, সব আইনজীবী এবং আমাদের ইউনিয়নের বাসিন্দাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। একইসঙ্গে আমি ধিক্কার জানাই তাদের, যারা তখনকার সেই নির্বাচনে কারচুপি করে সত্যকে চাপা দিয়ে মানুষের অধিকার হরণ করেছিল।

শোভাযাত্রা শেষে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মাওলানা সাইয়েদ আহমদ বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সত্যের জয় হয়েছে। এই বিজয় বারগাঁওবাসীর। আমাকে হারিয়ে দেওয়ার পর কত নারী পুরুষ আমাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে কেঁদে বলেছে তার হিসাব আমার কাছে নাই। তারা সেবা দেওয়া থেকে মানুষকে বঞ্চিত করেছে। আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আমার ইউনিয়নের বাসিন্দাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সূত্র: ঢাকা পোস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়