শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধের ডাক হাসনাতের (ভিডিও) ◈ নারায়ণগঞ্জ থেকে কাশিমপুর কারাগারে আইভী ◈ ‘মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্যের’ জবাব দিলেন আসিফ নজরুল ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার রিপোর্ট দাখিল সোমবার ◈ জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায় : ডা. জাহিদ ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিবৃতি ◈ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল ◈ যমুনার সামনে বিক্ষোভকারীদের জুমার নামাজ আদায়, নিরাপত্তা জোরদার, বাড়তি সতর্কতা ◈ নিয়ন্ত্রণরেখায় ফের ভারত-পাকিস্তান সেনাদের গোলাগুলি ◈ পাকিস্তান যদি পাল্টা আঘাত হানে, তখন তা ঘোষণার কোনও দরকার হবে না: জেনারেল আহমেদ শরিফ

প্রকাশিত : ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:২৪ দুপুর
আপডেট : ০৮ মে, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শেরপুরে মিনি চিড়িয়াখানায় অভিযান, ১৭টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার

তপু সরকার হারুন : শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের গজনী অবকাশ কেন্দ্রে অবৈধ মিনি চিড়িয়াখানায় অভিযান চালিয়ে ৭ প্রজাতির ১৭টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয়েছে। ১১ এপ্রিল শুক্রবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের নেতৃত্ব দেন বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা।

অভিযানকালে ৫টি বানর, ৪টি হরিণ, ৪টি বনবিড়াল,১টি অজগর সাপ, ১টি গন্ধগোকুল, ১টি শিয়াল ও ১টি বাজপাখি উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে শিয়াল ও বানরগুলো রাতেই গারো পাহাড়ের বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। হরিণ ৪টি চিড়িয়াখানার ইজারাদার ফরিদ আহমেদের জিম্মায় দিয়ে লাইসেন্স গ্রহণের সময় বেঁধে দেয়া হয়। অন্যথায় হরিণগুলো জব্দের পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নির্দেশ দেয়া হয়। আর বাকি ১০টি প্রাণী বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। পরে সেগুলোর শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী বনে অবমুক্ত করা হবে।

অভিযানকালে ময়মনসিংহ বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এসবি তানভীর আহমেদ ইমন, বালিজুড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা সুমন মিয়া, শেরপুর জেলা বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার, ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জার মো. আবদুল্লাহ আল আমিনসহ বনবিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারি ও র‍্যাপিড রেসপন্স বিডির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শেরপুর জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন পর্যটন কেন্দ্র গজনী অবকাশে অবৈধভাবে একটি মিনি চিড়িয়াখানা পরিচালনা করে আসছিলেন ইজারাদার ফরিদ আহমেদ। তিনি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২-এর ৬ (১) ধারা লঙ্ঘন করে অনুমতি ছাড়া বন্যপ্রাণী আটকে রেখে তা টিকেটের মাধ্যমে দর্শনার্থীদের দেখিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি একটি ভাল্লুক চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর পর সেই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়। চিকিৎসা সহায়তার জন্য প্রাণীসম্পদ বিভাগ থেকেও নেওয়া হয়নি কোন চিকিৎসা সেবা।

এ ব্যাপারে ইজারাদার ফরিদ আহমেদ বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা নিয়ে চিড়িয়াখানাটি পরিচালনা করে আসছিলাম। বন বিভাগ জানিয়েছে, লাইসেন্স ছাড়া বন্যপ্রাণী রাখা যাবে না। বুধবার বন কর্মকর্তারা প্রাণীদের তালিকা তৈরি করে। শুক্রবার রাতে লাইসেন্সবিহীন প্রাণীগুলো জব্দ করে। আর যে সকল প্রাণী সংরক্ষণ করা যাবে সেগুলোর জন্য আমি আবেদন করবো।

বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা জানান, বন্যপ্রাণী সংগ্রহ, দখলে রাখা, প্রদর্শন ও সংরক্ষণ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই এখান থেকে ১৭টি বন্যপ্রাণী জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা প্রাণীগুলো কিছুদিন কোয়ারেন্টিনে রেখে স্বাভাবিক বন্য পরিবেশে অবমুক্ত করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়