মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে মাসুমা নামে ৩২ বছর বয়সী কলেজের এক অফিস সহকারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ রাজধানীর (শনিবার, ২৬ জুলাই) জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনি মারা যান। এ নিয়ে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩৫ জনে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, ‘মাসুমা নামের আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এই নিয়ে জাতীয় বার্নে ১৭ জনের মৃত্যুর হলে এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এখানে মোট মৃত্যু ১৮ জনে দাঁড়ালো।
এর আগে আজ সকাল ৯ টার দিকে জারিফ নামে ১৪ বছর বয়সী আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়।
এদিকে শুক্রবার (২৫ জুলাই) ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। তাদের দু’জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক।
এর মধ্যে দুপুর ১টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাকিন নামে এক শিশু মারা যায়।
মাকিনের শ্বাসনালীসহ শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এছাড়া একইদিন সকালে জীবনমৃত্যুর লড়াইকে হার মানিয়ে বিদায় নেয় ১০ বছরের শিশু আয়মান।
বার্ন ইনস্টিটিউটে ভেন্টিলেশনে থাকা চারজনের মধ্যে দু’জনের অবস্থা বর্তমানে কিছুটা স্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তারা নিজেরাই শ্বাস নিতে পারছেন বলে জানা গেছে।
এছাড়া আরও কয়েকজন শিশুকে আজকে কেবিনে হস্তান্তরের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত সোমবার দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভেতরে বিধ্বস্ত হয়। এতে এই নিয়ে এ পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের বেশির ভাগই শিশু শিক্ষার্থী।