শিরোনাম
◈ সরকার পুঁজিবাজার সংস্কারে আনবে বিদেশি বিশেষজ্ঞ , পাঁচ নির্দেশনা ◈ নতুন সংবিধান প্রণয়ন সময়সাপেক্ষ ব্যাপার: আসিফ নজরুল ◈ নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কার্যক্রম ঢাকা রেঞ্জে চলবে না: ডিআইজি রেজাউল ◈ সাময়িকভাবে সরকারি মালিকানায় নেওয়া যাবে যেকোনো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, অধ্যাদেশ জারি ◈ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে দ্রুত সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ◈ আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ (ভিডিও) ◈ তাপপ্রবাহ চলছে দেশজুড়ে, স্বস্তির খবর দিল আবহাওয়া অফিস ◈ রাজনৈতিক দলের বিচারে ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন, গেজেট প্রকাশ ◈ বাংলাদেশের কাছে লিখিত প্রস্তাব চায় যুক্তরাষ্ট্র, তারপর আলোচনা শুরু ◈ আ. লীগের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে অনলাইনেও, পেজ বন্ধে চিঠি দেবে বিটিআরসি

প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০২৩, ০৫:৫৭ বিকাল
আপডেট : ২৮ মার্চ, ২০২৩, ০৬:১৬ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বায়ু দূষণে বাংলাদেশে অকাল মৃত্যুর হার ২০ শতাংশ

বায়ু দূষণ
  • সঠিক পদক্ষেপ এবং নীতির মাধ্যমে বায়ু দূষণ মোকাবিলা করা সম্ভব
  •  বিশ্লেষণমূলক কাজ এবং নতুন বিনিয়োগের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংক বায়ু দূষণ কমাতে সাহায্য করছে বাংলাদেশকে
  • বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালার অনুমোদনসহ বায়ুর মান ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ

এম এম লিংকন,জেরিন আহমেদ: বিশ্ব ব্যাংক বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ বায়ু দূষণের ১০ শহরের মধ্যে ৯টিই দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত। আর এই ৯টির মধ্যে ঢাকা অন্যতম। এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তর বলছেন, অধিক বায়ু দূষণে মানুষ মারাও যায়। এক্ষেত্রে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। আমরা বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ঢাকায় প্রকাশিত স্ট্রাইভিং ফর ক্লিন এয়ার: এয়ার পলিউশন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ ইন সাউথ এশিয়া' শীর্ষক গবেষণাপত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ু মানের পরিচালক জিয়াউল হক বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্ঠা থাকলে বায়ু দূষণ একেবারে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলেও স্বাভাবিক মাত্রায় রাখতে পারবো। বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে সব কিছু করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ মন্ত্রী। ইতোমধ্যে অবৈধ ইট-ভাটা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি আমরা। এছাড়া অবৈধ কারখানা ও ফিটনেস বিহীন গাড়ী নিষিদ্ধ করতেও কাজ করছে পরিবেশ অধিদপ্তর। 

বিশ্বব্যাংক জানায়, দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ু দূষণ এবং জনস্বাস্থ্য প্রতিবেদন অনুযায়ী সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এবং দরিদ্র অঞ্চলে কিছু সূক্ষ্ম কণা, যেমন- কাচ এবং ছোট ধূলিকণার ঘনত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানের চেয়ে ২০ গুণ বেশি। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতিবছর আনুমানিক ২ মিলিয়ন মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটায়। এই ধরনের চরম বায়ু দূষণের সংস্পর্শে শিশুদের মধ্যে স্টান্টিং এবং হ্রাসকৃত জ্ঞানীয় বিকাশ থেকে শুরু করে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ এবং দীর্ঘস্থায়ী ও দুর্বল রোগের প্রভাব রয়েছে। এতে স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় বৃদ্ধিসহ দেশের উৎপাদন ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং কর্মঘণ্টা নষ্ট করে।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক জানান, বায়ু দূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর এর বড় প্রভাব রয়েছে। শক্তিশালী জাতীয় পদক্ষেপের পাশাপাশি, বায়ু দূষণ রোধে আন্তঃসীমান্ত সমাধান গুরুত্বপূর্ণ হবে। 

বিশ্বব্যাংক আরও জানায়, দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি প্রধান এয়ারশেড চিহ্নিত করা হয়েছে যেখানে বাতাসের গুণমানে আত্মনির্ভরতা বেশি। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং পাকিস্তান, ইন্দো গাঙ্গেয় সমভূমিতে বিস্তৃত একটি সাধারণ এয়ারশেড শেয়ার করে। প্রতিটি এয়ারশেডের কণা বিভিন্ন উৎস এবং অবস্থান থেকে আসে। উদাহরণস্বরূপ, ঢাকা, কাঠমান্ডু এবং কলম্বোর মতো অনেক শহরে, শুধুমাত্র এক-তৃতীয়াংশ বায়ু দূষণ শহরের মধ্যে উৎপন্ন হয়। বায়ু দূষণের আন্তঃসীমান্ত প্রকৃতিকে স্বীকৃতি দিয়ে, চারটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশ- বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং পাকিস্তান প্রথমবারের মতো ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি এবং হিমালয়ের পাদদেশে বায়ুর গুণমান উন্নত করার জন্য কাঠমান্ডু রোডম্যাপ তৈরি করতে একমত হয়েছে। 

এমএল/জেএ/এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়