শিরোনাম
◈ শ্রীলঙ্কার কা‌ছে আফগা‌নিস্তান হে‌রে যাওয়ায় সুপার ফো‌রে খেলার সু‌যোগ পে‌লো বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচার, নতুন সংকটে স্টারমার: ডেইলি এক্সপ্রেসের রিপোর্ট ◈ শুধু অতীতের নয়, বর্তমানের দুর্নীতি থামাতেও নজর দিতে হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ও চীন সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সাফ চ‌্যা‌ম্পিয়নশী‌পে নেপালকে ৪-০ গো‌লে হারা‌লো বাংলাদেশ ◈ শ্রীলঙ্কার প্রতি বাংলা‌দে‌শের সমর্থন, চোখ এড়ায়নি লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের ◈ আফগানিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচের ফল যেমন হলে লাভ বাংলাদেশের ◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি : সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:৪৯ দুপুর
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৫:১৫ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পদ্মার তীব্র ভাঙনে নদী গর্ভে ৩শ’ বাড়ি

পদ্মার নদী ভাঙন

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর: ফরিদপুরে চলছে তীব্র নদী ভাঙন। এ ভাঙনে জেলা সদরের প্রায় তিন শতাধিক বাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়া চারটি গ্রামের রাস্তা, স্কুল, মসজিদ, ক্লিনিক ও ৩ কোটি টাকার সরকারি গোলাডাঙ্গী ব্রিজটি এখন হুমকির মুখে। নদী ভাঙনে গত ৬দিনে ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রিচর ইউনিয়নের ইউসুফ মাতুব্বরের ডাঙ্গীর প্রায় ৭০-৮০টি বাড়ি ভেঙে পদ্মা নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। এতে কমপক্ষে দেড়শত পরিবার চরম মানবেতর জীবন-যাপন করছে।  

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন পরিদর্শনে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে নদী ভাঙনের এ ভয়াবহ চিত্র পাওয়া গেছে।

Faridpur - Padma River
 
নদী ভাঙনকবলিত দুলাল মেম্বার, সোহরাব তালুকদার, সিদ্দীকুর মিয়া, ফরহাদ হোসেন জানান, আমাদের বাড়ি এনিয়ে তিনবার নদীতে ভেঙে গেছে, এখন আমরা কোথায় যাব?

প্রচণ্ড ভাঙনের তীব্রতার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ইউসুফ মাতুব্বরের ডাঙ্গীর একমাত্র সড়কের প্রায় ৭০০ গজ রাস্তা ভেঙে নদীর বুকে বিলীন হয়ে গেছে।  

গত তিনমাস ধরে জেলা সদরের নর্থচ্যানেল ইউনিয়নে অব্যাহত নদী ভাঙনে উস্তাডাঙ্গী, মৃধাডাঙ্গী ও গোলডাঙ্গির তিনটি গ্রামের প্রায় ৩০০ বাড়ি ঘর নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এতে কমপক্ষে এক হাজার পরিবার এখন অন্য মানুষের বাড়ির আঙ্গিনায় অথবা সরকারি রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়েছে।  

ইতোমধ্যেই, পদ্মার বুকে বিলিন হয়ে গেছে চরটেপুরাকান্দি মসজিদ ও উস্তাডাঙ্গী স্কুল এবং সরকারের প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক এবং এক হাজার বিঘা ফসলি জমি ও অগণিত গাছপালা।  

প্রবল হুমকির মুখে আছে চারটি গ্রামের প্রায় ১ হাজার ২০০ বাড়ি ঘর, সরকারি রাস্তা, স্কুল, মসজিদ, হাসপাতাল, চরটেপুরাকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ছোট ছোট বেশ কিছু কালবার্ট-ব্রিজ এবং প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এক মাত্র গোলডাঙ্গী ব্রিজটি।  হঠাৎ পদ্মার পানি কমে যাওয়ায় ভাঙনের তীব্রতা দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি।  

জেলা সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান মোস্তাক বলেন, আমরা অসহায়। আমরা পারি মানুষের  দুঃখ ও ভাঙনের বিষয় কর্তৃপক্ষকে বলতে। কিন্তু ভাঙন ঠেকানোর ক্ষমতা আমাদের নেই।  

ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটন ঢালী বলেন, খবর পেয়ে শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ৭০০ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেছি। নতুন নতুন যারা নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদেরও পর্যায়ক্রমে তালিকা করে সহযোগিতা করা হবে।  

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ফরিদপুর নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম সাহা বলেন, এলাকাগুলো চরের ভেতরে হওয়ায় ভাঙন ঠেকাতে ওইখানে কাজ করার মতো বাজেট আপাতত নেই। এছাড়া করোনার কারণে বাজেট স্বল্পতা রয়েছে আমাদের। তাই এ ব্যাপারে খুব শিগগিরই পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না। পরে বাজেট পাওয়ার পরিপেক্ষিতে বিষয়টি বিবেচনা করব। সম্পাদনা: হ্যাপী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়