বেশ কয়েক মাস হলো দেশের বাইরে ঢালিউড অভিনেতা জায়েদ খান। ফেরার নাম নেই। গুঞ্জন উঠেছে ফিরবেন না এ নায়ক। কেননা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। যুক্ত ছিলেন আলো আসবেই গ্রুপে। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা করে হত্যাচেষ্টার মামলার আসামী তিনি। এসব কারণেই দেশে ফেরাটা নিরাপদ মনে করছেন না তিনি।
দেশে ফেরা নিয়ে নানা গুঞ্জনের বিষয়ে জায়েদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মানুষ তো কত কথাই বলে। বলুক।’
দেশের বাইরে কেমন কাটছে- জানতে চাইলে বলেন, ‘ভালো আছি। ওয়েদারটা এনজয় করছি। শো আছে।’ দেরি হবে নাকি শিগগিরই ফিরছেন দেশে- জানতে চাইলে তাড়াতাড়ি ফেরার আভাস দিয়ে বলেন, ‘দেরি হবে না।’
জায়েদ খানের ফেসবুকে চোখ রাখলে বোঝা যায় সময়টা ভালো কাটছে তার। সঙ্গে ব্যস্ততাও রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পীদের সঙ্গে ছবি প্রকাশের পাশাপাশি বিভিন্ন শোয়ে পারফর্মের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেন তিনি।
গেল ২৫ আগস্ট বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার মামলায় জায়েদ খানকে আসামি করা হয়। একই অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় শাহরিয়ার নাজিম জয় ও সাজু খাদেমকে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত পথসভায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে আসামিরা অস্ত্রসহ তার গাড়িবহরে আসামিরা হামলা চালান। এসময় খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের ১২-১৪ টি গাড়ি ভাঙচুর করে, ৪টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় এবং নেতাকর্মীদের মারধর করেন। এসময় খালেদা জিয়ার নিরাপত্তারক্ষীরা আহত হন। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে আসামিরা ইট-পাথর নিক্ষেপ করলে সাধারণ পথচারীরা আহত হন।
জায়েদ খান, জয় ও সাজু খাদেম ছাড়াও এ মামলায় আসামী করা হয়েছে শেখ সেলিম, শেখ হেলাল, কর্নেল ফারুক খান, ফজলে নূর তাপস, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, সাবের হোসেন চৌধুরী, মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী, সাইদ খোকন, বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সাংবাদিক শাবান মাহমুদ, আবু আহম্মেদ মন্নাফী, মতিঝিল জোনের তৎকালীন এডিসি মেহেদী, একে এম মমিনুল হক সাঈদ, মোস্তফা জামান পপিকে।
আপনার মতামত লিখুন :