ইফতেখার আলম বিশাল, রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)-এর সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া ঘোষণার পর রোববার সকালে আলোচনায় আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়জন ডিনের বিষয়টি। শনিবার তিনি ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন, ফ্যাসিস্টদের দোসর ও আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনকে রোববারের মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে।
এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সালাহউদ্দিন আম্মার ও তার সহযোগীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ডিনদের বিষয়ে খোঁজখবর নেন। তারা বিভাগের সভাপতিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ডিনরা লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কিনা—সে বিষয়ে জানতে চান।
তবে সংশ্লিষ্ট ছয়টি বিভাগের সভাপতিরা জানান, এখনো পর্যন্ত কোনো ডিন লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেননি। এছাড়া ডিনদের ছয়জনই রোববার ক্যাম্পাসে আসবেন না বলে জানিয়েছেন। কেউ কেউ ছুটি নেওয়ার কথা বললেও, লিখিতভাবে বিভাগীয় সভাপতির কাছ থেকে ছুটি নেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন সালাহউদ্দিন আম্মার।
এ বিষয়ে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, আগামী তিন দিনের মধ্যে আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে চিহ্নিত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্রলীগ নামধারী শিক্ষার্থীদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হবে। তার অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেড় বছরেও এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি, তাই রাকসুই এখন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হচ্ছে।
যেসব ছয় ডিনকে ঘিরে আপত্তি তোলা হয়েছে তারা হলেন— আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু নাসের ওয়াহিদ, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক নাসিমা আখতার, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ এস এম কামরুজ্জামান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এস এম একরাম উল্লাহ, প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক বিমল কুমার প্রামাণিক এবং ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ এইচ এম সেলিম রেজা।
এদিকে, রোববার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনে রাকসুর সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মাহবুবুর রহমান। পরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, শিক্ষকদের সঙ্গে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে উদ্দেশ্যেই তিনি সেখানে উপস্থিত হয়েছেন।
প্রক্টর মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, যেসব ছয় ডিনের বিষয়ে আপত্তি তোলা হয়েছে, তাদের মেয়াদ গত ১৭ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব খুব শিগগিরই কার্যকর সিদ্ধান্ত নেবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।