‘মব’ সৃষ্টি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল সংসদে ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। লিখিত অভিযোগ দিয়ে ডাকসু নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির আহ্বান জানিয়েছে ছাত্রদল। এঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ সোমবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ জানিয়েছেন ছাত্রদলের নেতারা। সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মালিহা বিনতে খান সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ডাকসু ও হল সংসদের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। সেটি সংবাদ সম্মেলনে পড়ে শোনান গণেশ চন্দ্র রায়। তাতে বলা হয়েছে, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রাণের দাবি ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন। ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিবেশ ও নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের (সবার সমান সুযোগ) অভাব স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান থাকা সত্ত্বেও গণতন্ত্র ও শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্টকে ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঘোষিত তফসিল অনুসারে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নেতা–কর্মীকে যথা নিয়মে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সাংগঠনিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।’
ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এ ঘটনায় জড়িত সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মালিহা বিনতে খান বলেন, ‘হলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। আমি কয়েকজন শিক্ষার্থীকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে বেলা ৩টা ৫৫ মিনিটের দিকে হলে যাই। সাধারণ শিক্ষার্থী নামধারী কিছু শিক্ষার্থী এসে আমাদের বাধা দেয়। পরে হল প্রশাসনকে জানালেও তারা আমাদের কথা শোনেনি। শিক্ষার্থীরা মব সৃষ্টি করে আমাদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে দেয়নি। গায়ে হাত তোলার চেষ্টা করে। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে ডাকসু নির্বাচন-২০২৫ এর চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, মনোনয়নপত্র বিতরণের শেষ মুহূর্তে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৃত ঘটনা যাচাই, মূল্যায়ন ও সুপারিশ প্রদানের জন্য ঢাবি সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলামকে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উৎস: চ্যানেল আই।